অধ্যবসায় রচনা , ১০, ২০, ৩০ পয়েন্ট, PDF

প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য আজকে অধ্যবসায় রচনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অধ্যবসায় রচনা সকল শ্রেণীর জন্য ব্যবহারযোগ্য। এছাড়া আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি অধ্যাবসায় রচনাটি পয়েন্ট আকারে, এবং পিডিএফ ফাইল দেওয়া হয়েছে।

অধ্যবসায় রচনা class 7, class 8, ক্লাস ৫, – শ্রেণীর জন্য অধ্যবসায় রচনা প্রকাশ করা হয়েছে । যে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যবসায় রচনা যা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে  class 8, ক্লাস ৫, class 7। অর্থাৎ class 8, ক্লাস ৫, class 7 শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আমাদের এই অধ্যবসায় রচনাটি ব্যবহার করতে পারবে।

অধ্যবসায় রচনা ১৫০ শব্দঃ অধ্যবসায় রচনা ১৫০ শব্দ এর মধ্যে আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। কিছু অংশে দেওয়া হয়েছে অধ্যবসায় রচনায়ের ১৫০ টি শব্দ। ১৫০ টি শব্দের অধ্যবসায় এর রচনাটি পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে।

অধ্যবসায় রচনা ১০, ২০, ৩০ পয়েন্টঃ অধ্যবসায় রচনাটি পয়েন্ট আকারে দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেওয়া হয়েছে অধ্যবসায় রচনার ১০ পয়েন্ট, ২০ পয়েন্ট, এবং ৩০ পয়েন্ট। অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdf দেওয়া হয়েছে। যেন শিক্ষার্থীরা খুব সহজে ডাউনলোড করে নিজে পড়তে পারে অন্য সময়। অথবা অধ্যবসায় রচনাটি প্রিন্ট আউট করতে পারে। 

অধ্যবসায় রচনা pdf –  অধ্যবসায় রচনা pdf এর অংশটুকু নিচে দেওয়া হয়েছে যেন, সকল শিক্ষার্থীরা সহজে ডাউনলোড করতে পারে এবং পরে ব্যবহার করে তে পারে। অধ্যবসায় রচনা pdf অংশটুকু প্রিন্ট আউট করতে পারে।

অধ্যবসায় রচনা
অধ্যবসায় রচনা

 

অধ্যবসায় রচনা

ভূমিকাঃ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। জ্ঞান, বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আগামীতে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সফলতা দৈবক্রমে এসেছে বলা যাবে না। সাফল্য এসেছে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। কোনো কাজ হয়নি
ভবিষ্যতে আর হবে না এটা ভাবা বোকামি। অন্যরা পারেনি এমন বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে কিন্তু আপনি পারবেন। তাই বলা যায় একাগ্রতার সাথে কাজ সম্পন্ন করার প্রচেষ্টাই অধ্যবসায়।

ভূমিকা: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। জ্ঞান, বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আগামীতে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সফলতা দৈবক্রমে এসেছে বলা যাবে না। সাফল্য এসেছে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে কোনো কাজ হবে না এমনটা ভাবা বোকামি। অন্যরা পারেনি তবে আপনি অবশ্যই পারবেন এই বিশ্বাস নিয়ে চেষ্টা করুন।

অধ্যবসায় হল একাগ্রতার সাথে একটি কাজ সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা। পৃথিবীর কোন বড় আবিষ্কারই একবারে সফলতার মুখ দেখেনি। নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলন ছাড়া কোনো মানুষই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করতে পারে না। অধ্যবসায়কে আজ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধ্যবসায় ব্যতীত আমরা কখনই উন্নত জীবনযাপনের আশা করতে পারি না।

অধ্যাবসায়ের সংজ্ঞা: প্রতিটি মানষু জীবনে সফল হতে চায়।কিন্তু সে ভাবে না, সফল কিভাবে হতে হয়। এমনকি
আমরা অনেকেই সফল হবার জন্য সহজ পথ খোঁজার চেষ্টা করি। সহজ পথে অর্জিত কোন কিছুদীর্ঘস্থায়ী হয় না।
আবার কোন কাজ একবার বিফল হলে সে কাজে আর সফল হব না এ রকম ভেবে কাজ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে
না। তাই কোন একটি কাজ একাগ্রতার সঙ্গে এবং এক মোহাবিষ্ট হয়ে প্রকৃত সাফল্য অর্জন করার যে ধৈর্য ও
সহিষ্ণুতা তাকেই অধ্যবসায় বলা যায়। ব্যর্থতার মধ্যেই লকিু য়ে থাকে সফলতার চাবি– একথা বিশ্বাস করে
সাফল্য অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। কবির কথা ভুলে গেলে চলবে না –

অধ্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য : অনুশীলন ছাড়া আমরা কোনোভাবেই জীবনে সফল হতে পারি না। কিন্তু অধ্যবসায়
একটি ইউনিট একটি বস্তু নয়, এটি বেশ কয়েকটি গুণের সমষ্টি। মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সহনশীলতা একাগ্রতা থাকলেই তাকে পরিশ্রমী বলা যায়। দৃঢ় সংকল্পের পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছা
থাকতে হবে জীবনকে প্রবাহিত করতে হবে উন্নত চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়ে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী
ক্রমাগত চালানোর জন্য ব্যক্তির ড্রাইভ এবং উত্সাহ থাকতে হবে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি যে কোনও ব্যক্তির মধ্যে

যদি থাকে, সেই ব্যক্তি যেকোনো বাধা অতিক্রম করে সফলতার পথে ছুটতে পারে। জীবন অর্থবহ এবং সুন্দর
অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব : ব্যর্থতাকে জয় করেই সফলতা অর্জন করতে হবে। এই সাফল্য
অর্জনের জন্য অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। সুন্দর ও শীতল মানব সভ্যতায় তার যা অবদানই থাকুক
মালেউ আছে অধ্যবসায়। একজন মানুষের জীবনের যে কোন সময় ব্যর্থতা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে
পরিশ্রমী মানুষের একমাত্র লক্ষ্য অন্ধকার সময়কে অতিক্রম করে সাফল্যের সূর্যকে জয় করা। অবিরাম
মানুষ চেষ্টা করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। যদি আমি চেষ্টা না করি এবং অন্যের উপর নির্ভর করি
আমি যদি করি, সাফল্য নাও আসতে পারে এবং সফলতা এলেও ফলাফল আমার জন্য সুখকর হবে না।
প্রতিটি মানুষের অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কঠিন পথকে সহজ পথে পরিণত করতে হবে। ধর্মীয় গ্রন্থের আলোকে ব্যাখ্যা
দেখা যাবে মানশিউর চারিত্রিক গুণাবলীর মধ্যে অধ্যবসায় রাখা হয়েছে। মানুষের জীবন শুধুই চির সুখের
এটা যায় না, তাকে কষ্ট পেতে হয়।

অন্যদিকে, কোনো মানুষকেই শুধু দুঃখ নিয়ে বাঁচতে হয় না,
সে চেষ্টা করলে সুখ পেতে পারে। প্রত্যেকেই তার নিজের চিন্তার দ্বারা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে
তিনি একটি অধ্যবসায়ী মনোভাব আছে. এই অন্ধকার কারো জীবনে চিরকাল থাকে না, যদি তার জীবনে চেষ্টা থাকে
আলো আসবেই। সহজ কথায়, আজকের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং
সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখতে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। প্রজ্ঞা, জ্ঞান,
জীবনকে সচেতন, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের সাথে পরিচালনা করতে হবে।

সভ্যতা বিকাশে অধ্যবসায়ের ভূমিকা: একটি পরিষ্কার এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা যা আমরা সহজেই অমানবিক করতে পারি শুরু থেকেই সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল না। ইতিহাস অধ্যয়নের মাধ্যমে জানা যায় যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা বনবাসী এবং গুহাবাসী ছিলেন। ভিতরে বাস করত। মানুষ সেই জরাজীর্ণ জীবন থেকে বিদায় নেওয়ার আশায় প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।
কোনোভাবেই তিনি প্রকৃতির কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করেননি। পশুর মতো লড়াই করেছে
দল বেঁধে লোকেদের সাথে যুদ্ধ করেছে। একের পর এক পাথর ব্যবহার করে বাসযোগ্য জায়গা তৈরি করছে
সে একইভাবে আগুনের ব্যবহার শিখেছে। একের পর এক চেষ্টার মাধ্যমে তিনি চাকাটি আবিষ্কার করেন
সভ্যতার গতিধারাকে সচল রাখে। আজকের পৃথিবী আমাদের সুখের উপহার দিয়েছে
তার পেছনে রয়েছে অধ্যবসায়ের অভাবনীয় অবদান। আমাদের পূর্বপুরুষরা সকল বাধা অতিক্রম করে সভ্য
যে সমাজ নিজেকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে তার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি সুন্দর সভ্যতা।

অধ্যবসায়ীর জীবনধারা : আমরা করব জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় নিশ্চয়।
আহা বকেু র গভীর, আছে প্রত্যয় আমরা করব জয় নিশ্চয়।
আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সহজেই অনমেু য় অধ্যাবসায় ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়।
অধ্যবসায়ী মানষেু র মনে একটি জেদ থাকবে এবং বকেু র গভীরে থাকবে প্রত্যয় ।যে করেই হোক সে তার
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জীবন সংগ্রামে সাফল্য অর্জনের জন্য অধ্যবসায় হল একমাত্র এবং অনন্য
চাবিকাঠি। একজন অধ্যবসায়ী মানষু সব সময় পূর্বের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে সফল মানষেু র প্রতি দষ্টিৃ রাখে।

পাশ্চাত্য থেকে শুরু করে প্রাচ্য পর্যন্ত এমন অনেক উদাহরণ আমরা অনায়াসেই বলতে পারি যারা অধ্যবসায়ের
গুণেই সফল হয়েছেন। অধ্যবসায়ী মানষেু র মন যদি কখনো অবসাদগ্রস্থ হয় তবে সে জেগে ওঠার মন্ত্র নেয়
পূর্বসূরীদের নিকট থেকে। অধ্যবসায়ী মানষু যেমন নিয়ম শংখলার ৃ মধ্যে চলে তেমনি তার চোখে-মখেু একাগ্রতার
ছাপ দেখা যায়। অধ্যবসায়ী মানষু বিশ্বাস করে জীবনে দঃখু আছে, গ্লানি আছে, পরাজয় আছে, ব্যর্থতা আছে,

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ও আছে। ব্যর্থতাকে পরাজিত করতে হলে অধ্যবসায়ীকে সহিষ্ণুতার সঙ্গে উদ্যম ও প্রচেষ্টা
অব্যাহত রাখতে হবে। অধ্যবসায়ী মানষু নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করার জন্য মখেু র কথা বা গায়ের পেশিশক্তি
ব্যবহার না করে কাজকে প্রাধান্য দেয়।

অধ্যবসায়ের উদাহরণ : উদ্যম ফিরে পেতে একজন উদ্যমী ব্যক্তিকে অতীতে নিয়ে যেতে হবে কারণ সেখানে
তার নতুন শক্তির উৎস মাটিতে। যারা জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন তারা সবাই এক মুহূর্তে
সবকিছু অর্জন করতে না পেরে তাকে ধৈর্য ধরে সাফল্যের পেছনে ছুটতে হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ড
আমরা যদি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্রিকেট সাফল্যের ইতিহাস বিশ্লেষণ করি তবে আমরা তাকে বারবার দেখতে পাব।

অস্ত্র অভিযানের কারণে দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন হাতু। কিন্তু হাল ছাড়েননি
একের পর এক চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট সব আঘাতকে হার মানিয়েছে
দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। মহান কবি ফেরদৌসী তাঁর মহাকাব্য ‘শাহনামা’ রচনা করতে সময় নিয়েছিলেন।
প্রায় 30 বছর। মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথমদিকে লেখক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য ইংরেজি সাহিত্য রচনা করেন
তিনি করেছেন, কিন্তু সেখানে তিনি লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাননি, তাই থেমে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না, লিখেছেন বাংলা
কবিতা, বাংলা মহাকাব্য, বাংলা নাটক সহ অসংখ্য কাজ।

আজও আমরা মাইকেল মধুসূদন দত্তকে বাঙালি বলি।
আমি সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে অধ্যবসায়।
আমরা সবাই নেপোলিয়ন বোনাপার্টের কথা শুনেছি যিনি কয়েকবার পরাজিত হয়েও থামেননি।
একের পর এক চেষ্টা করেছেন, অধ্যবসায় করেছেন, ভুল শুধরেছেন এবং সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এগিয়ে গেছেন
অর্ধেক পৃথিবীর অধিপতি হয়ে গেলেন। তার জন্য অসম্ভব কিছু ছিল না। স্কটল্যান্ডের রাজা
রবার্ট দ্য ব্রুস অধ্যবসায়ের আরেকটি উদাহরণ।

ইংরেজ বাহিনীকে পরাজিত করলেও তার লক্ষ্য ছিল
কোনোভাবে ব্রিটিশ বাহিনীকে পরাজিত করে তিনি যুদ্ধ জয়ে মনোনিবেশ করেন।
ফলে অবশেষে তিনি ব্রিটিশ বাহিনীকে পরাজিত করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু
সমাজে বিধবা বিবাহ চালুর প্রাথমিক প্রস্তাবের পর ভারতের গোঁড়া হিন্দু সমাজ এর ওপর
যে প্রতিবাদ ও বাধা সৃষ্টি করেছিল তা তিনি উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন। একটার পর একটা অনেকদিন ধরে
ভারতীয় হিন্দু সমাজের এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ইংরেজ আইনপ্রণেতাদেরকে যুক্তি উপস্থাপন করে বোঝাতে সক্ষম
হিন্দু ধর্মবল রম্বি বিধবাকে পুনরায় বিয়ে না করা খুবই অমানবিক।

অবশেষে বিধবা বিবাহ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভারতে এটিকে জনপ্রিয় করতে সক্ষম হন। আইনস্টাইনের সাথে স্যার আইজ্যাক নিউটন বিশ্বের
মহান বিজ্ঞানীরা এমন আবিষ্কার রেখে গেছেন যা অধ্যবসায়ের মাধ্যমে বিশ্বকে উপকৃত করে। জগদীশচন্দ্র
বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, লালন ফকির, সাহিত্যিক আবদুল করিমসহ বহু বিশ্ব
অধ্যবসায়ের কারণে নিজের দেশের পাশাপাশি বিশ্ব আসনেও জায়গা করে নিয়েছেন বিখ্যাত মনসু।

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায় : জীবনকে অর্থবহ ও সুন্দর করে তোলার শ্রেষ্ঠ সময় হল ছাত্রজীবন।
ছাত্রজীবনে আমরা সঠিক পথে থাকলে, আমাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারলে জীবনে সফল হওয়া সম্ভব। তাই
অধ্যবসায় ছাত্রজীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হতাশ, অলস ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা কখনোই সফল হয় না
অর্জন করতে পারে না জ্ঞানের পথ খুব সহজ নয়। কম মেধাবী ছাত্ররা অধ্যবসায় করে
এর মাধ্যমে খুব ভালো ফলাফল করা যায়। অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর নিজেদের মেধার উপর অনেক আস্থা আছে
কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চললে, পরিণামে মেধাবী ছাত্রদের তুলনায় কম মেধাবী ছাত্ররা অধ্যবসায়ী হয়
সাফল্য অর্জন. ছাত্রজীবনই ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি তাই এই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়
কাপুরুষতা এড়িয়ে চলুন এবং ধৈর্য ধরে থাকুন নইলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। যদি
আমরা যখন পারি না বলে হাল ছেড়ে দিই, তখন আমাদের মনকে জিজ্ঞাসা করতে হবে-
বলবেন না যে আমি পারব না আপনি কেন পারবেন না তা নিয়ে ভাবুন

জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব : ব্যক্তিজীবনের মতো জাতীয় জীবনে পরিশ্রমও গুরুত্বপূর্ণ। আজ
যে আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা নাগরিক জীবনে সবচেয়ে এগিয়েছি তা হল বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আবিষ্কার
এটি একটি সহজ কাজ ছিল না. আলভা এডিসনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং লক্ষ্যমুখী মানসিকতায় সভ্যতা
যিনি অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা, মহাকাশ গবেষণা, উপগ্রহ,
টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের সুবিধা মানুষের জীবন ও জাতীয় জীবনকে বদলে দিয়েছে
এটা পরিবর্তন এনেছে। এই সাফল্যের পিছনে, কঠোর পরিশ্রম এবং নিছক অধ্যবসায় আছে। এখন মানুষ
এক জায়গায় স্থির থাকতে ভালো লাগে না। তাকে ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
জাতীয় জীবনে পরিবর্তন আনতে অধ্যবসায় জরুরি। আমরা স্বাধীন হলে বাংলাদেশ
যুদ্ধের কথা চিন্তা করলে দেখা যায় দেশ বিভাগের পরও দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস। নির্যাতন
রাষ্ট্রনায়করা দুঃখভোগ করেও দেশের স্বাধীনতার কথা ভুলে যাননি। একের পর এক চেষ্টা করেছে
সব উপায়ে দেশের মানুষকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। এই চেতনা থেকেই ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শুরু হয়
আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আসলে এই অর্জন বাঙালি জাতির দৃঢ় সংকল্প ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিকে আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সকল নাগরিককে অধ্যবসায় করতে হবে।
তাই জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের অপরিসীম বিশেষত্ব রয়েছে।

ব্যক্তি জীবনে অধ্যবসায় : ব্যক্তির সাফল্য সমাজ ও রাষ্ট্রের সাফল্যে পরিণত হয়। মাঝে মাঝে একজন মানুষ
রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বের সেরা রানার হোসেন বোল্ডকে আমরা অনেকেই জানি এবং সে কারণেই
আমি দেশ জ্যামাইকা জানি। ব্যক্তিগত জীবনে জেদের কোনো বিকল্প নেই। হতাশ, অলস ক্লাস
মানুষ কখনো ব্যক্তিগত জীবনে সফল হতে পারে না। যখন কোনো ব্যক্তি কোনো কারণে কোনো কাজে ব্যর্থ হয়, তখন সে
ভাববেন না যে আপনি কাজটি করতে পারবেন না। নতুন উদ্যমে আবার শুরু করতে হবে এবং কোনো এক সময়ে দেখা হবে
সেই ব্যক্তি অবশ্যই সফলতা অর্জন করবে। দীর্ঘ কারাবাসের সময় নেলসন ম্যান্ডেলা জাতিগত বৈষম্যের শিকার হন
বিলুপ্তির জন্য তিনি সমসাময়িক শাসক শ্রেণীর রক্তপাতকে উপেক্ষা করে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন।
সারা বিশ্বের মানুষ তার অবদান স্মরণ করে কারণ তিনি সংগ্রাম করেছেন। তাই ব্যক্তিগত জীবন পরিপূর্ণ করতে
অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।

প্রতিভা ও অধ্যবসায়: প্রতিভা একটি মানষেু র সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশেষ পারদর্শিতার সম্ভাবনা যা চর্চার মধ্য দিয়ে
ওই মানষুকে দক্ষ করে তুলবে। শুধুপ্রতিভা থাকলেই কোনভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভোগা যাবে না কারণ প্রতিভাকে
সফল করতে হলে বা কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। এক খন্ড লোহা যদি আমরা ব্যবহার না
করে অবহেলায় ফেলে রাখি তাহলে দেখা যাবে ওই লোহা খন্ডে মরিচা পড়ে যাবে। ঠিক একইভাবে কোন
প্রতিভাবান শিক্ষার্থী যদি প্রতিনিয়ত অনশীল ু নের মধ্যে না থাকে তাহলে তার প্রতিভা এক সময় নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিভাকে ধরে রাখতে হলে অধ্যাবসায় এর কোন বিকল্প নেই। মানষেু র মধ্যে যে সুপ্ত সম্ভাবনা
লকিু য়ে থাকে তাকে বিবেক বদ্ধিু দিয়ে বিকশিত করতে হয়। শুধুঅসাধারণ প্রতিভা থাকলেই সফল হওয়া যায় না
কারণ তার সাথে প্রয়োজন পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের। বিজ্ঞানী নিউটন, বিজ্ঞানী ডাল্টন, ফরাসি দার্শনিক
ভলতেয়ার প্রতিভাকে স্বীকার না করে পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় কে গুরুত্ব দিয়েছেন। অধ্যবসায় ব্যতীত প্রতিভা
কখনো প্রতিষ্ঠা পাবে না।

অধ্যবসায় ও সমাজ জীবন : মানুষ সামাজিক জীব, সামাজিকভাবে বেঁচে থাকা তার স্বাভাবিক স্বভাব। সমাজের
সমস্ত জিনিস একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে, তাই সেই সমাজের নিয়মগুলি ব্যক্তির জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক।
প্রয়োগের মানসিকতা দেখা যায়। একটি সমাজে সমষ্টিগত সাফল্য তাই সেই সমাজের ব্যক্তিদের দ্বারা অর্জিত হয়
অধ্যবসায় সামাজিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যক্তি সমাজকে সুন্দর ও পরিপাটি করে তোলে।

মানুষের আচরণ সমাজকে প্রভাবিত করে। সামাজিক অনুশীলনের মাধ্যমে যদি ব্যক্তির মানসিক শক্তি শক্তিশালী হয়
সম্ভব হলে, ব্যক্তি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের পথ হারাবে না। বিশেষ করে সংগঠিত সমাজের বিকাশের জন্য
অধ্যাস একান্ত প্রয়োজন। একটি কার্যকরী সমাজে প্রতিটি মানুষ শৈশব থেকেই তার নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনের জন্য মনস্থির হয়
প্রস্তুত করা যেতে পারে।

অধ্যবসায়ের সাথে সাফল্য অর্জনের সর্ম্পক : প্রতিটি মানুষই জীবনে সফল হতে চায়। তার নিজের অবস্থান থেকে
সফলতা অর্জনের জন্য মানুষ যেকোনো উপায় অবলম্বন করে। আমাদের সমাজে এক ধরনের মানুষ আছে যারা
একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সঠিকভাবে কাজ করে না এবং কিছু কাজ করে তবে অল্প সময়ের জন্য যাওয়ার সাথে সাথে আপনি দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর চিন্তা করা বন্ধ করে দেন। তাই জীবন সংগ্রামে সফলতা মল অধ্যবসায়. সাফল্য সম্পূর্ণভাবে অধ্যবসায়ের উপর নির্ভর করবে। জীবনের বাধা অতিক্রম করার জন্য সংগ্রাম জেতা সম্ভব। একজন মানুষের কল্পনা আর জীবনযাপনের ধরন কখনো এক হয় না, বাস্তবতা কি?
পিছনে ফেলে যাওয়া মানুষকে নতুন শিক্ষা দেয়। জীবনের সব কাজ খুব সহজে সমাধান করা যায় না। কিছু
এক সময় সাফল্য সাফল্য নিয়ে আসে যখন এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা অর্জন করতে একাধিক প্রচেষ্টা লাগে। তাই সাফল্য লাভের একমাত্র সাধনা হল অধ্যবসায়।

অধ্যবসায় ও ক্রমবর্ধমান বিশ্ব : উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে অধ্যবসায়ের ফল আমরা সহজেই দেখতে পাই।
জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ
অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে উন্নত বিশ্বের তালিকায় স্থান দিতে পেরেছে। নতুন কর্ম পরিকল্পনা এবং
এই দেশগুলো বিজ্ঞানের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
একটি কাজ সম্পন্ন করা ব্যক্তির কর্মক্ষমতা উপর নির্ভর করে. উন্নত বিশ্ব ভিন্নভাবে চিন্তা করে
কর্মের ক্ষতি আলাদা কিন্তু কাজ যেভাবেই হোক শেষ করতে হবে।

যেখানে আমরা একটি কাজে ব্যর্থ হই
আবার চাকরি না করার চিন্তায় ব্যর্থ চাকরির ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার একটি ক্রমবর্ধমান বিশ্ব রয়েছে
আবার শুরু. তাই আমাদেরকে অধ্যবসায় রেখে উন্নত বিশ্বের মতো সাফল্য অর্জন করতে হবে।

অধ্যবসায় ও বাঙালি জাতি : আমরা বাঙালিরা খুব পরিশ্রমী মানুষ
এই পরম গুণ মন-মনে অতৃপ্ত। চেষ্টা নেই, নতুন কিছুর গ্রহণযোগ্যতা নেই
অন্যের সমালোচনা করা, অন্যের কাজে দোষ খোঁজা আমাদের স্বাভাবিক অভ্যাসের মধ্যে পরিণত হয়েছে।
এটা ঠিক যে আমরা পশ্চিমা বিশ্বের নতুন উদ্ভাবন ব্যবহার করছি কিন্তু আমরা নিজেরাই নতুন কিছু তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি।
আমি অন্যদের উদ্ভাবনের দিকে তাকাই না। আমাদের মধ্যে যে প্রাণশক্তি আছে, আমরাও যদি অধ্যবসায় করি
সভ্যতা পরিবর্তনের বিজ্ঞানকে আমরা কিছু উপহার দিতে পারি এই বিশ্বাসটি আত্মার মধ্যে স্থাপন করা উচিত। বাঙালির স্বভাব।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতার মাধ্যমে তা বর্ণনা করেছেন এভাবে-

পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার
সেথা হতে আনে উপহার

আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করেছি তার সমসাময়িক অর্জিত স্বাধীন দেশ সিঙ্গাপুর ,মালয়েশিয়া আমাদের থেকে
অনেক বেশি উন্নতি করেছে শুধুপরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের দ্বারা। পৃথিবীর এই সাফল্য ও সমদ্ধিৃ র যুগের আমরা
যদি নিজেদের দরবু স্থা থেকে সামনের দিকে এগোতে চায় তাহলে অবশ্যই নীরব সাধনা অধ্যবসায় একান্ত প্রয়োজন
যার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে পরিশ্রম।

উপসংহার : আজকের বিশ্ব অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক যেখানে সাফল্য অর্জনের জন্য কোন “ডো বা ডি” নেই
অন্য কোন উপায় নেই। তাই আমাদের প্রত্যেকেই জীবনে সফল হওয়ার জন্য অধ্যবসায়ের উপর নির্ভর করে
উঠতে হবে আমাদের সেই যাত্রা শুরু করতে হবে অধ্যবসায়ের মতো গুণাবলী অর্জন করে। বাস্তবসম্মত হলে
মানে আমরা যদি আমাদের জীবনে অধ্যবসায় চর্চা করতে পারি তাহলে অবশ্যই জীবনে পরিবর্তন আসবে, এমন পরিবর্তন
যা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তাই মনে রাখতে হবে জীবনকে সার্থক করতে হলে অনুশীলন করতে হবে
একমাত্র পথ

অধ্যবসায় রচনা PDF

প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য এই অংশে অধ্যবসায় রচনা pdf দেওয়া হয়েছে। অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdf উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যবসায় রচনা pdf  দেওয়ার মূল কারণ হলো অধ্যবসায় রচনা pdf এবং অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdf ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারে।

অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdfClick Here
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট pdfClick Here

 

সর্বশেষেঃ অধ্যাবসায় রচনা সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিচে কমেন্ট করো। এবং আমাদের সাইটটি ফলো করো নিয়মিত আপডেটের জন্য। ধন্যবাদ!

মন্তব্য করুন

This content is protected! By banglanewsbdhub