ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে এটা সবার মনে প্রশ্ন? ঈদুল আজহা প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের ২ মাস ১০ দিন বা ৭০ বা ৭৫ দিন পরে হয়। তবে এবারের ঈদুল আজহা কবে হবে তাই নিয়ে আছে অনেকের কাছে প্রশ্ন।
তবে এই নিম্বন্ধের মাধ্যমে আজ আমরা জানব, ২০২৪ সালে ঈদুল আজহা কবে, কত তারিখে, এবং কখন হবে। তাছাড়া আরো ঈদুল আজহা এর গুরুত্বপূর্র্ণ তথ্য আলোচনা করব।
ঈদুল ফিতরের মধুময় আনন্দ এখনো মনে থাকলেও, মুসলমানদের আরেকটি মহান উৎসব ঈদুল আজহা ইতোমধ্যেই দৃষ্টিগোচরে আসছে। ধর্মীয় বিধান মেনে কোরবানি করা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া – এই দুই দিক দিয়েই ঈদুল আজহা বাংলাদেশে “কোরবানির ঈদ” নামে সুপরিচিত।
কবে হতে পারে ঈদুল আজহা ২০২৪?
ঈদুল আজহা পালনের নির্দিষ্ট তারিখ সৌদি আরবের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। সৌদি আরবের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গণনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের দশম জিলহজ হিসেবে ১৬ জুন, রবিবার সন্ধ্যা ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসেবে, বাংলাদেশে ১৭ জুন, সোমবার ঈদুল আজহা পালিত হতে পারে।
ঈদুল আজহা কি?
বছরে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ২ টি, একটি ঈদুল ফিতর এবং আরেকটি ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরকে বলা হয় রমজান এর ঈদ এবং ঈদুল আজহাকে বল হয় কুরবানীর ঈদ, এই দুইটিই সকল মুসলমাদের মহা উৎসব।
যেভাবে ঈদুল আযহা বা কুরবানী শুরু হল
আল্লাহ তা’আলা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি সালামকে পরীক্ষা করার জন্য, একটি রাতে আল্লাহ হযরত ইব্রাহিম আলাইহি সালামকে স্বপ্ন দেখান যে, আল্লাহ তাআলা বলছেন হে মুসা তোমার প্রিয় জিনিসটিকে কোরবানি দাও, তিনি তখন বলে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিস হল আমার পুত্র সন্তান ইসমাইল আলাই সাল্লাম। তিনি তখন বলেন তুমি তোমার প্রিয় জিনিসটাকে কোরবানি দাও।
স্বপ্ন দেখে, তিনি পরের দিন সকালে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর প্রিয় জিনিস ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানী দেওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং যখন কোরবানি দিতে জান, এবং যখন তিনি তার গলায় চুরি ধরেন তখন তিনি পাশে দেখেন একটি দুম্বা জব্বই হয়ে গেছে, বা কুরবানী হয়ে গেছে।
এরপর থেকে কোরবানির প্রথা মুসলমানদের মধ্যে চালু হয়, এজন্য প্রতিবছর সকল মুসলমান চেষ্টা করেন তার প্রিয় পশুটিকে কোরবানি দেওয়ার।
ধর্মীয় বিধান মেনে কোরবানি করা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া – এই দুই দিক দিয়েই ঈদুল আজহা বাংলাদেশে “কোরবানির ঈদ” নামে সুপরিচিত।
ঈদুল আজহার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হজ যা হজের আনুষ্ঠানিকতা দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়, যা ১লা তারিখ থেকে শুরু হয় এবং ১০ই জিল-হজের দিন শেষ হয়, যা ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ এবং শেষ মাসে শেষ হয়। এই দশ দিনের মধ্যে ৯ জিলহজ আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত এবং এই দিনটিকে হজের দিন বলা হয়।