ক্ষমতা কাকে বলে

ক্ষমতা কাকে বলে – সময়ের সাথে সাথে যে পরিমান কাজ করা হয় সেটি হলো ক্ষমতা। তাহলে বলতে গেলে, সময়ের সাপেক্ষে কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে।

ক্ষমতা কাকে বলে

ক্ষমতা অন্য ভাবে বলতে গেলে এক কথায় –  একক সময়ে যে পরিমান কাজ করা হয় তাকে ক্ষমতা (Power)  বলে।

বইয়ের ভাষায়, একক সময়ে যে পরিমাণ কার্য সম্পন্ন করা হয়,তাকে ক্ষমতা (Power)  বলে।

তাহলে, ক্ষমতা হলো কাজ ভাগ সময়, অর্থাৎ কাজকে সময় দ্বারা ভাগ করলে আমরা ক্ষমতা পাবো।

সুতরা ক্ষমতা = কার্য/সময়

তাহলে, যদি সময় কে ছোট হাতের t এবং কাজকে বড় হাতের W ধরি। আর

যদি t সময়ে W পরিমাণ কার্য করাহয় তাহলে ক্ষমতা হয়,

P = W/t

পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কম সময়ে যে যত বেশি কার্য করতে পারে তার ক্ষমতা তত বেশি। অর্থাৎ একক সময়ে যে যত বেশি কাজ করবে তার ক্ষততা ততো বেশি।

সহজভাবে বলতে গেলে, যদি ক নং ব্যক্তি এক মিনিটে ১টি কাজ সম্পূর্ণ করে তাহলে তার ক্ষমতা হবে ১।

আবার খ নং ব্যক্তি জদি একই সময়ে ২টি কাজ সম্পূর্ণ করে তাহলে তার ক্ষমতা হবে ২। তাহলে খুব সহজেই বলা যাই ক  নং ব্যক্তির চেয়ে খ নং ব্যক্তির ক্ষমতা বেশি।

সুতরাং ক্ষমতা শুধু কার্যের মোট পরিমাণের ওপর নির্ভরকরে না, কত কম সময়ে কার্যটি করা হল যার ওপরও নির্ভর করে।

ক্ষমতার পরিমাপ

ক্ষমতা নির্ধারণের জন্য সাধারণভাবে একটি সূত্র ব্যবহার করা হয়:

ক্ষমতার সময় = ক্ষমতা / কাজের সময়

এই সূত্রে, ক্ষমতা সাধারণভাবে ওয়াটে প্রকাশ করা হয়, এবং সময় সেকেন্ডে প্রকাশ করা হয়। ক্ষমতার সময় এককটি সময় এবং ক্ষমতা একটি পরিমাপ যা যন্ত্রের কাজের সময় এবং ক্ষমতা সম্পর্কে মূল পরিমাপ যা পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।

ক্ষমতার একক

আমরা আগেয় জেনেছি যে, একক সময়ে একক পরিমাণ কার্য সম্পন্ন করার ক্ষমতাকে একক ক্ষমতা বলা হয়।

  • CGS পদ্ধতিতে শক্তি একক আর্গ/সেকেন্ড।
  • 1 সেকেন্ডে 1 আর্গ কার্যক্ষমতাকে 1 আর্গ / সেকেন্ড বলা হয়।
  • এসআই পদ্ধতিতে শক্তি এক জুল / সেকেন্ড বা ওয়াট (ওয়াট) বলা হয়।

ওয়াট কাকে বলে 

1 সেকেন্ডে 1জুল কার্য করার ক্ষমতাকে 1 জুল / সেকেন্ড বা 1 ওয়াট বলে।

  • SI ও CGS পদ্ধতিতে ক্ষমতার ব্যবহারিক একক  হল ওয়াট।
  • FPS পদ্ধতিতে ক্ষমতার ব্যবহারিক একক অশ্বক্ষমতা বা হর্স পাওয়ার।

ক্ষমতা নির্ণয়ের রাশিমালা

যদি একটি স্থির মানের বল F কোনো বস্তুর ওপর t সময় ধরে ক্রিয়া করে এবং বস্তুটি v সমবেগে প্রযুক্ত বলের s দূরত্ব যায় তবে ক্ষমতা

P = F.s/ t = F.v

বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ক্ষমতাকে ওয়াট বা কিলোওয়াট এককে প্রকাশ করা হয়।

তাহলে আমরা ক্ষমতা সম্পর্কে কি জানলামঃ

ক্ষমতা পদার্থ বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ যা একটি যন্ত্র, বা একটি ব্যক্তি, একটি সময়ে কৃত কাজের হার বা শক্তি সরবরাহের হারকে প্রকাশ করে। এটি প্রায়শঃ বিদ্যুৎ প্রবাহের সম্পর্কে ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণভাবে ওয়াট বা কিলোওয়াট এককে প্রকাশ করা হয়। এটি একটি যন্ত্রের কাজের সময় ও ক্ষমতা সম্পর্কে মূল পরিমাপ যা পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।

ক্ষমতা নির্ধারণের সময় সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি সূত্র হল ক্ষমতার সময় = ক্ষমতা / কাজের সময়। এই সূত্র ব্যবহার করে যন্ত্রের ক্ষমতা মাপা যায়, যেটি সাধারণভাবে ওয়াটে প্রকাশ হয়।

সূত্রের মাধ্যমে এই মূল পরিমাপের সাথে সময়ের সঙ্গে ক্ষমতার ব্যস্ত সম্পর্ক নির্ধারণ করা যায়, যা পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Prove your humanity: 6   +   1   =  

You cannot copy content of this page

Scroll to Top