ধৈর্য কি? ধৈর্য ও সফলতা, ধৈর্য ধারণ করার উপায়

ধৈর্য হলো এমন একটি মানসিক গুণ যা একজন ব্যক্তিকে প্রতিকূলতা বা বিপদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্থির থাকতে সাহায্য করে। ধৈর্য হলো এমন একটি গুণ যা একজন ব্যক্তিকে আনন্দ, প্রতিকূলতা, দুঃখ এবং উদ্বেগের সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ধৈর্য হলো এমন একটি গুণ যা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে এবং অনিশ্চয়তার মধ্যেও আত্মবিশ্বাসী রাখতে সাহায্য করে।

ধৈর্য শব্দের অর্থ কি?

আনন্দ, প্রতিকূলতা, দুঃখ এবং উদ্বেগের সময়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ। সহ্য করার বা অপেক্ষা করার ক্ষমতা, সহনশীলতা, ধীরতা। এই সকল গুণগুলো যার মধ্যে আছে সেই ধৈর্যশীল। ধৈর্য একটি বিশেষ গুণ, যা সবার মধ্যে থাকে না। ধৈর্যশীল হতে হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে আগে। যখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তখনই বুঝবে তুমি ধৈর্যশীল।

ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা কী?

সহিষ্ণুতার আরবি শব্দ হলো হিলম। দিলাম বা সহিংসতা বলতে বোঝায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা। নিজের ক্ষমতাস থাকা সত্ত্বেও অন্যের উপর জুলুম বা প্রতিশোধ না নেওয়া।

সবর হলো আরবি শব্দ, যার বাংলা শব্দ হলো ধৈর্য। ধৈর্য হলো এমন একটি জিনিস যা, দুঃখ, কষ্ট, এবং যেকোনো বিপদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।

ছবর ও হিলম শব্দদ্বয়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত ছবর তথা ধৈর্য হলো, যে কোন কাজ করার ক্ষমতা নাই, তাই তার জন্য চেষ্টা বা প্রতিরোধ না করা।

আর হিলম, নিজের ক্ষমতা আছে কাজটি করার অর্থাৎ ক্ষমতা বা শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ গ্রহণ না করা।

ধৈর্যের তিন প্রকার কি কি?

ধৈর্য হলো এমন একটি জিনিস যা, দুঃখ, কষ্ট, এবং যেকোনো বিপদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। মনোবিজ্ঞানী সারাহ স্নিটকারের গবেষণা অনুসারে, ধৈর্য শব্দটি আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি,

এটি তিনটি প্রধান প্রকারের মধ্যে আসে:
১। আন্তঃব্যক্তিক ধৈর্য, ​​
২। জীবন কষ্টের ধৈর্য এবং
৩। প্রতিদিনের ঝামেলা ধৈর্য ।

ধৈর্য ও সহনশীলতার মধ্যে পার্থক্য কি?

ধৈর্য হল যখন আপনি অন্যদের চ্যালেঞ্জের জন্য সময় দেন; তারা আপনাকে যা দেয় তা গ্রহণ করা হচ্ছে সহনশীলতা। ধৈর্য হল নেতাদের মানসিকতা যা আপনার মধ্যে সেরা এবং অন্যদের মধ্যে সেরাকে ডাকে! সহনশীলতা হল শহীদ মানসিকতা যা আপনাকে অন্য লোকেদের অজুহাতের শিকার হতে দেয়।

ধৈর্য ও সফলতা

ধৈর্য ও সফলতা প্রতিকূলতা বা বিপদ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ধৈর্যের সময় যে কোন কাজের প্রতি অপেক্ষা করা। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী যিনি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি ধৈর্য ধরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।

ধৈর্য ধারণ করা ব্যক্তি অবশ্যই একদিন সফলতা লাভ করে। তাই নিজেকে ধৈর্যধারণ ও সফলতা অর্জনের জন্য অনিশ্চয়তার মধ্যেও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।

বলতে গেলে ধৈর্য সফলতার চাবিকাঠি, তাই জীবনে লক্ষ্য থাকলে ধৈর্য ধরে সে কাজ করলে একদিন অবশ্যই সে সফলতা অর্জন করবে।

ধৈর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ যা আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সহায়ক হতে পারে। এটি আমাদেরকে:

=> প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।
=> লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত রাখে।
=> অন্যান্যদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

ধৈর্য ধারণ করার উপায়

ধৈর্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যা আমাদেরকে জানতে হবে এর মধ্যে রয়েছে:

➡️ প্রতিদিনের জীবনে ধৈর্যশীল হওয়ার চেষ্টা করা।
➡️ ধৈর্যের গুণাবলীর উপর মনোযোগ দেওয়া এবং সেগুলি বিকাশের জন্য কাজ করা।
➡️ ধৈর্যশীল মানুষদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
➡️ ধৈর্য একটি মূল্যবান গুণ যা আমাদের জীবনকে আরও সুখী এবং পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

👉 আপনি কি কি অর্জন করেছেন তা নিয়ে ভাবুন, এবং আপনার পছন্দের কাজগুলো করুন এবং মানুষের প্রতি কি করেছেন তা ভাবুন।

👉 নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। আপনি যদি বিরক্ত বা হতাশা বোধ করেন তবে নিজেকে দোষারোপ করবেন না। এটি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। বরং, আপনার অনুভূতিগুলি স্বীকার করুন এবং তা গ্রহণ করুন।

👉 আপনার লক্ষ্যগুলিকে মনে রাখুন। আপনি কেন ধৈর্য ধরছেন, এটি আপনাকে  আপনার লক্ষ্য চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আপনার লক্ষ্যগুলি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন তা নিয়ে চিন্তা করুন এবং সেগুলি অর্জনের জন্য আপনার ধৈর্য কিভাবে আপনাকে সাহায্য করবে, তা ভাবুন।

👉 অন্যান্য ধৈর্যশীল মানুষের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হন। সারা বিশ্বে অনেক ধৈর্যশীল মানুষ রয়েছেন যারা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন এবং সফল হয়েছেন। তাদের গল্পগুলি পড়ুন বা তাদের সাথে কথা বলুন।

👉 ধৈর্যশীল হওয়ার অনুশীলন করুন। প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে ধৈর্যশীল হওয়ার অনুশীলন করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার লক্ষ্য থেকে আটকে গেলে রাগ বা বিরক্তি না হয়ে ধৈর্য ধরতে পারেন।

👉 ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন। আপনি যখন ধৈর্যশীল হচ্ছেন তখন নিজেকে কিছু দিয়ে পুরস্কৃত করুন। এটি আপনাকে ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত রাখতে সাহায্য করবে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন কোনও কঠিন কাজটি শেষ করেন তখন নিজেকে একটি ছোট উপহার দিন।

👉 ধৈর্য একটি দক্ষতা যা সময়ের সাথে সাথে বিকাশ লাভ করে। ধৈর্য ধরার জন্য অনুশীলন এবং প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। তবে, এটি একটি মূল্যবান গুণ যা আপনার জীবনকে আরও সুখী এবং পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

ধৈর্য শব্দের অর্থ কি?

সবর হলো আরবি শব্দ, যার বাংলা শব্দ হলো ধৈর্য। আনন্দ, প্রতিকূলতা, দুঃখ এবং উদ্বেগের সময়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ। সহ্য করার বা অপেক্ষা করার ক্ষমতা, সহনশীলতা, ধীরতা। এই সকল গুণগুলো যার মধ্যে আছে সেই ধৈর্যশীল।

সহিষ্ণুতা কী?

সহিষ্ণুতার আরবি শব্দ হলো হিলম। দিলাম বা সহিংসতা বলতে বোঝায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা। নিজের ক্ষমতাস থাকা সত্ত্বেও অন্যের উপর জুলুম বা প্রতিশোধ না নেওয়া।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Prove your humanity: 0   +   3   =  

You cannot copy content of this page

Scroll to Top