বিভক্তি কাকে বলে – বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে যে শব্দাংশ যুক্ত করতে হয় সেই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি।
অন্যভাবে,
যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি শব্দ বা ধাতুর পরে বসে শব্দ বা ধাতুকে পদে পরিণত করে এবং সেই সঙ্গে কারক ও কাল নির্ণয় সাহায্য করে, সেই সকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে বিভক্তি বলে।
অন্যভাবে,
যে ধ্বনি বা ধ্বনি গুচ্ছ শব্দ বা ধাতুর পরে বসে শব্দ বা ধাতুকে পদে পরিণত করে, তাকে বিভক্তি বলে।
অন্যভাবে,
বাক্যে একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সম্পর্ক স্থাপন এবং বাক্যটিকে সুন্দর করে তোলার জন্য আমরা যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিগুলো ব্যবহার করে থাকি, তাদেরকেই বিভক্তি বলে।
উদাহরণ: অ( শূন্য বিভক্তি) কে, রে, এর, ই প্রভৃতি।
অন্যভাবে,
যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে শব্দ বা ধাতুকে পদে পরিণত করে যথাক্রমে কারক নির্ণয়ে ও কাল নির্ণয়ে সাহায্য করে তাকে বিভক্তি বলে।
অন্যভাবে,
বাক্যে একটি পদের সঙ্গে অপর একটি পদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং বাক্যটিকে সুসাজ্জিত করে তোলার জন্য যে বর্ণগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলিকেই বলা হয় বিভক্তি।
(মা শিশু চাঁদ দেখা। ) বন্ধনীর ভিতর বাক্যটিতে কোন শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করা হয়নি। ফলে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে কোন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি, এবং এগুলো বাক্যও হয়ে উঠতে পারেনি। এখন শিশু’র সঙ্গে কে বিভক্তি আর দেখা’র সঙ্গে চ্ছেন’ বিভক্তি যোগ করলে বাক্যটি হবে-
(মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।) অর্থাৎ, শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একটি বাক্য সম্পূর্ণ হলো এবং এখন আর এগুলো শব্দ নয়, এগুলো প্রত্যেকটি একেকটি পদ।
বিভক্তি কয় প্রকার ও কি কি ?
বিভক্তির শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে বলে বিভক্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
(১) শব্দ বিভক্তি
(২) ধাতু বিভক্তি
কারক বিভক্তি বলতে শব্দ বিভক্তিকেই বোঝায়। যে বিভক্তি গুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলি হল – এ, কে, রে, তে, র, এর, য় ।
শব্দবিভক্তিঃ যে বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে নামপদে পরিণত করে বাক্যে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে, তাকে শব্দবিভক্তি বলে।
ধাতুবিভক্তিঃ যে বিভক্তিগুলি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধাতুকে সমাপিকা ক্রিয়াপদে পরিণত করে, তাদের ধাতুবিভক্তি বা ক্রিয়াবিভক্তি বলে। (জেনে রাখা ভালো, অসমাপিকা ক্রিয়াপদ গঠনে বিভক্তি নয়, প্রত্যয় যোগ করা হয়)।
বাংলা শব্দ বিভক্তি ৭ প্রকার-
বিভক্তির নাম |
বিভক্তি |
প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি | ০, অ |
দ্বিতীয়া বিভক্তি | কে, রে |
তৃতীয়া বিভক্তি | দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক |
চতুর্থী বিভক্তি | কে, রে |
পঞ্চমী বিভক্তি | হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে |
ষষ্ঠী বিভক্তি | র, এর |
সপ্তমী বিভক্তি | এ, য়, তে |
আরো জানোঃ
বাংলা কারক ও অকারক পদের স্বাভাবিক বিভক্তি ও অনুসর্গ
- কর্তৃ কারক – শূন্য বিভক্তি
- কর্ম কারক – কে, রে বিভক্তি
- করণ কারক – দ্বারা, দিয়ে প্রভৃতি অনুসর্গ
- নিমিত্ত কারক – জন্য, নিমিত্ত প্রভৃতি অনুসর্গ
- অপাদান কারক – থেকে, চেয়ে প্রভৃতি অনুসর্গ
- সম্বন্ধ পদ – র, এর, দের,কার প্রভৃতি বিভক্তি
- অধিকরণ কারক – এ, তে, য় বিভক্তি
- সম্বোধন পদ – শূন্য বিভক্তি
বিভিন্ন কারকে এই বিভক্তি গুলি ব্যবহার করা হয় যেমন –
(১) শূন্য বিভক্তি : রামচন্দ্র পিতৃসত্য পালনের জন্য বনবাসে গিয়েছিলেন। (কর্তৃকারক)
(২) কে বিভক্তি : আমি মাকে বইটি কিনে দিয়েছিলাম। (কর্মকারক)
(৩) রে বিভক্তি : দেবতারে সমর্পণ করো। (নিমিত্ত কারক)
(৪) য় বিভক্তি : শুধু কথায় কাজ হয় না। (করণ কারক)
(৫) এ বিভক্তি : ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা’। (অপাদান কারক)
(৬) র বিভক্তি : খাঁচার পাখি উড়ে গেল। (অধিকরণ কারক)
বিভক্তি কাকে বলে
বিভক্তি কাকে বলে ?
বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে যে শব্দাংশ যুক্ত করতে হয় সেই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি।
বিভক্তি কয় প্রকার ও কি কি ?
বিভক্তির শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে বলে বিভক্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – (১) শব্দ বিভক্তি (২) ধাতু বিভক্তি।