মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম – মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনেকে জানতে চেয়েছে, তাদের জন্য আজকের এই প্রবন্ধটি তৈই করা। এছাড়া যারা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম জানতে আগ্রহী তাদের জন্য আজকের এই প্রবন্ধটি খুবিই গুরুত্বপূর্ন। কারন আমরা এই পোস্টে জানতে চলেছি, মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, এবং নিয়ত সুতরাং কখনই আজকের পোস্টি মিস করবে না।
তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে কিছু কথাঃ
নফল নামাজের মত, তাহাজ্জুদ নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ নকল ইবাদত। নফল নামাজ যেভাবে দুই রাকাত করে পড়তে হয় তদ্রূপ তাহাজ্জুদ নামাজ ও একইভাবে পড়তে হয়। শুধুমাত্র নিয়ত করার সময়, নফল নামাজের নিয়ত ভিন্ন হবে, এবং তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ভিন্ন হবে। নফল নামাজ বিশেষ করে রাতের মধ্যে অথবা শেষ অংশে পড়ায় উত্তম। নফল নামাজ পড়ার আগে যে যে বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলঃ
- নিয়ত (উদ্দেশ্য) করা: তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হলে প্রথমে নিয়ত করতে হবে, যাতে আপনি কোনো নিশ্চিত উদ্দেশ্যের সাথে নামাজ পড়ছেন।
- সময় নির্ধারণ: তাহাজ্জুদ নামাজ মধ্যরাত্রে পড়তে হয়, প্রায় নিশ্চিত সময়ের মধ্যে, সাধারণভাবে রাতের অন্তবাল থেকে আগে।
- নামাজের পড়ার নিয়ম: মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ সাধারণ নামাজের মতো পড়া হয়, তবে নির্দিষ্ট সূরা বা আয়াতের আয়াত সংখ্যা স্বাধীনভাবে পড়া যায়।
- আদায় প্রণাম: মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হলে নির্জন এবং শান্তিপূর্ণ স্থানে নামাজ পড়তে হবে।
- ইচ্ছে অনুযায়ী: এই নামাজ পড়া অনুমোদিত এবং ইচ্ছে অনুযায়ী, তাহলে আপনি যে সূরা বা আয়াত পড়তে চান তা বেছে নিতে পারেন।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মগুলি আপনার আত্মীয় বা সাথীর সাথে সাঝা করে নামাজ পড়া এবং আল্লাহর আশীর্বাদ পেতে সাহায্য করতে পারে।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
তাহাজ্জুদ নামাজ একটি আশ্রয়ের নামাজ যা মধ্যরাত্রি পড়া হয়। মহিলাদের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম নিম্নলিখিত:
নিয়ত (উদ্দেশ্য) করা:
প্রথমে নামাজ পড়ার নিয়ত করতে হবে। এটি নিজের উদ্দেশ্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী হতে পারে। নামাজের শুরুতে আপনার মনে আপনি কোন নিশ্চিত উদ্দেশ্যের সাথে পড়ছেন তা নিয়ত করুন।
সময় নির্ধারণ:
তাহাজ্জুদ নামাজ মধ্যরাত্রে পড়তে হয়, সাধারণভাবে রাতের অন্তবাল থেকে আগে। এই নামাজ পড়া সময়ের মধ্যে নিশ্চিত সময়ে পড়া সুন্দর হয়।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ সাধারণ নামাজের মতো পড়তে হয়, তবে নির্দিষ্ট সূরা বা আয়াতের আয়াত সংখ্যা স্বাধীনভাবে পড়া যায়। মহিলারা তাহাজ্জুদ নামাজে একটি বা একাধিক সূরা বা আয়াত পড়তে পারেন, এইজন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। এটি আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী।
- তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে।
- তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সর্বনিম্ন ২(দুই) রাকাত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া উত্তম। তবে আরও বেশি পড়া জায়েজ আছে।
- বিতরের নামাজের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নেয়া।
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে দুই রাকাত দুই রাকাত করে।
- লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে পড়া।
- কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারও কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।
- রমজান ছাড়া অন্য সময় মাঝেমধ্যে জামাতে পড়া জায়েজ আছে তবে নিয়মিতভাবে নয়।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
- তাকবীরে তাহরিমা “আল্লাহু আকবার” বলার নিয়তের সাথে সম্পর্কিত।
- তারপর ছানা পড়ে.
- সূরা ফাতেহা পাঠ করুন।
- কুরআন মিলানো এবং কোরাত পড়া। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার লম্বা কেরাত পড়লেন। অতঃপর অন্য নামাজ, সেজদার মতো রুকু আদায় করুন।
- দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে সালাম ফিরানোর পর তাশাহহুদ, দুরূদ ও দুআ মাছুরা বলে নামায শেষ করার এই পদ্ধতি।এভাবে দুই রাকাতে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উত্তম।
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুমিনের কর্তব্য। সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মুসলমানদের কর্তব্য। ফরজ নামাযের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল নামায করুন, যার মধ্যে সর্বোত্তম হল তাহাজ্জুদের নামায।
আরো জানতে পারোঃ
আদায় প্রণাম:
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হলে নির্জন এবং শান্তিপূর্ণ স্থানে নামাজ পড়তে হবে। এই নামাজে একটি পবিত্র আবাসে নামাজ পড়া উচিত, যেখানে কোনো মুসলিম মহিলা সান্নিধ্যে আসতেন না।
ইচ্ছে অনুযায়ী:
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অনুমোদিত এবং ইচ্ছে অনুযায়ী, তাহলে আপনি কোনো প্রাথমিক সূরা বা আয়াত পড়তে পারেন যা আপনি চান।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ একটি বিশেষ সময়ে আল্লাহর কাছে আপনার প্রার্থনা এবং ইবাদতের সুন্দর সুযোগ প্রদান করে। মহিলারা ইচ্ছে অনুযায়ী নামাজ পড়তে পারেন এবং নিজেদের সাথে এই সুন্দর প্রক্রিয়াটি সাঝা করতে পারেন।