শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার উপায়

ঠিক শোনো, শারীরিক শক্তি বাড়ানোর জিনিসটা আসলে খুব সোজা কইলাম—কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ব্যাপারটা নিয়ে তেমন ভাবে না। চারটা রাস্তা আছে—খাবার, ওষুধ, এক্সারসাইজ, আর দোয়া। তুমি কোনটা বেছে নিলে সেটা আসলে পুরোটাই তোমার স্টাইলের ওপর। কেউ খায়, কেউ ঘুমায়, কেউ আবার শুধু প্রার্থনা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খাবার+ব্যায়াম—এই মিক্সটার ভক্ত। ওষুধ তো একেবারেই শেষ অপশন, সেটা খাওয়ার আগে ডাক্তারবাবুরে দেখে নেওয়া লাগবেই। না’হলে পরে মালুম হইব গ্যাঞ্জাম কেমন লাগে!

তবে, দুই ধরনের শক্তির কথা সত্যি—শারীরিক আর মানসিক। একটার কাঁঠাল, আরেকটা বাতাসা—আল্লাদে একসাথে গেলে জমে। মন ভাল না থাকলে গায়ে তেল মাখলেও লাভ নাই। শরীর ভাল, মগজ ফুরফুরে—এইটুকুই চাই।

এবার কবে আসো, ডিটেইলে ঝাঁপাই—

খাবার দিয়ে শক্তি—

ডিম দেইখলেই অনেকে নাক সিটকায়, কিন্তু ভাই, ডিমের ভেতরে যা আছে অন্য কিছুরে কইরা দ্যাখাও তো! প্রোটিন, ভিটামিন, আত্তি ওমেগা-৩… অদ্ভুত পাওয়ার। ডিম খালি রুটি-ভাজি না, হালকা ‘বয়েলড’ দিয়া শুরু করো।

দুধ—এইটা তো আমাদের বেশিরভাগের ছোটবেলার আতঙ্ক। কিন্তু বৈজ্ঞানিক রিসার্চ কি কইতেছে? দুধ খাইলে হাড় জমাট, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, Vitamin D—সব এসে জায়গায় ঠেলছে।

ছোলা—অনেকেই ভাবছে, ছোলা মানে শুধু রমজান, কিন্তু কিচ্ছু না! ছোলা দারুণ প্রোটিন সোর্স, ফাইবারও দারুণ। শারীরিক সহ্যশক্তি বাড়াতে দিব্যি কাজ দেয়।

আর বাকিটা তালিকাটা সোজা—বাদাম, কলা, ডাল, পালং, ওটস, সালমন (স্টাইল আছে, খরচও আছে!), নানা রকম শাকসবজি। এগুলোর মধ্যে হাত চালাও—পেট, হজম, হার্ট—সব ঠিক থাকবে।

ওষুধ—সত্যি বলি, এদিকে যাবার আগে অন্তত দশবার ভাবো। কিছু কিছু সাপ্লিমেন্ট আছে, গোজি বেরি, গ্লুটামিন, ক্রিয়েটিন—শোনা যায় কাজে দেয়। কিন্তু ভাই, নিজে নিজে সাহসী হইসো না, আগে ডাক্তারের মতামত নিও। ফাজলামি করলে শেষ!

ব্যায়াম—এমনিতে ডানপিটে থাকো, একটু প্ল্যাঙ্ক-পুশআপ করলে পাবলিক শরীর দেখেই হিংসে করবে! প্ল্যাঙ্ক, ওয়াল সিট, গ্লুট ব্রিজ—এসব সোজা, কেউ শিখায়ে দিলেই পারবা। আইসোমেট্রিক শোল্ডার প্রেস, যোগব্যায়াম আর স্রেফ স্ট্রেচিং—কিছুই মিস কইরো না। সপ্তাহে যদি ৩-৪ দিন কাটাও, গ্যাপ দিও না, একদিনে কেন ছিঁড়াইতে যাবে?

দোয়া—ইমানদারদের জন্য বাড়তি বোনাস। “আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি…” এই দোয়াটা পড়লে মনও শান্ত হবে, শরীরেও একটু অন্যরকম আত্মবিশ্বাস কাজ করবে। মানসিক শান্তিও কম কিসের, বলো?

গরিবের কিছু জরুরি টিপস:
– পানি কম খাও? খবর আছে, দিনে অন্তত ৮ গ্লাস না খেলেই নয়।
– ঘুমটা ঠিক রাখো, সাত-আট ঘণ্টার কম বেশি হলে কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে জানবে।
– চাপ নাও কম নাও, লাইফ ছোট ফ্রেন্ডস—ঝামেলা থেকে দূরে থাকো।
– ধূমপান, মদ—এসব বাদ, দরকার নাই।

শেষ কথা? ভাই, শুধু একটা পদ্ধতিতে আটকে থাকলেই হবে না। খাবার, ব্যায়াম, ঘুম, প্রার্থনা—প্রত্যেকটা একটু একটু করে নিতে হবে, মিক্সড ফরমুলায় চললে শরীরও দৌড়াবে, মনও হেসে উঠবে। নিজের রাস্তা নিজেই ঠিক করে নাও, দরকার পড়লে ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তা বলো। শক্তি বাড়ুক—তোমারও, আমারও!

নেক্সট—“হাড় ক্ষয় রোগ”-এর লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে জানবা নাকি? বলিস…

 

আরো জানুনঃ

You cannot copy content of this page

Scroll to Top