শীতের সকাল রচনা

শীতের সকাল রচনা

শীতের সকাল প্রবন্ধ রচনাটি যে সকল শ্রেণী শীতের সকাল রচনা পড়তে পারবে তাদের মধ্যে রয়েছে শীতের সকাল রচনা ৭ম শ্রেণী, শীতের সকাল রচনা ৫ম শ্রেণী, একটি শীতের সকাল রচনা class 4, একটি শীতের সকাল রচনা class 6 অর্থাৎ শীতের সকাল রচনাটি সপ্তম, ষষ্ঠ, ৫ম, চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করতে পারবে। 

শীতের সকাল রচনা

এছাড়া, শীতের সকাল রচনা ছোট এবং একটি শীতের সকাল রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

শীতের সকাল পোস্ট এর সারসংক্ষেপ:

  • ভূমিকা;
  • শীতের সকালের প্রাকতিক সৌন্দর্য;
  • শহরে শীতের সকাল;
  • গ্রামে শীতের সকাল;
  • শাতের সকালে পশপ!
  • শীতের সকালের প্রধান আকর্ষণ;
  • শীতের সকালের সুখ-দুঃখ;
  • শীতের সকালের অসুবিধা;
  • উপসংহার:

ভূমিকা: বাংলাদেশ আমাদের ছয় ঋতুর দেশ। প্রতিটি ঋতুর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এদিকে, শীত মৌসুম আমাদের সামনে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজে হাজির হয়। ঠাণ্ডা উত্তরের বাতাস আর কুয়াশার চাদরে বুড়ির মতো শীত আসে কনকনে। মানুষের কাছে শীতের দিনের প্রধান আকর্ষণ শীতের সকাল। এ সময় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। নতুন সূর্যের আলো কুয়াশার ঘন সাদা আবরণ ভেদ করে পৃথিবীতে আলো ছড়াতে পারে না। ঠাণ্ডা বাতাসে প্রকৃতি ও প্রাণী জমে যেতে থাকে। তাই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-

শীতের হাওয়ার লাগল নাচন আমলকীর এই ডালে ডালে।
পাতাগুলি শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে দিল তালে তালে ।

শীতের সকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : পৌষ ও মাঘ শীতের দুই মাস। তখন প্রকৃতির সঙ্গে কুয়াশা নাচতে থাকে। ঠাণ্ডা উত্তরের বাতাস বইছে, গাছগুলো পাতাহীন হয়ে গেছে। নদীতে স্রোতের তীব্রতা কমে যাচ্ছে। শীতের সকালে যখন সবকিছু ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় তখন প্রকৃতি অপরূপ লাগে।

শীতের সকালে পাণ্ডুর প্রকৃতিতে এক নীরব সৌন্দর্য দেখা যায়। এই সৌন্দর্য খুবই বিমূর্ত। শীতের সকালে প্রকৃতি এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় মগ্ন। কোনো পথচারী যখন কুয়াশার নিস্তব্ধতার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যায়, মনে হয় শীতের ঠান্ডায় তার শরীর কাঁপছে। টিনের চালে, গাছের ডালে, ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর মনোরম দৃশ্য শীতের সকাল ছাড়া আর দেখা যায় না।

মোটা সাদা চাদরে মোড়ানো প্রকৃতির বুকে শিশির বিন্দু মুক্তোর মতো ঝলমল করে। প্রকট হয়ে ওঠে সতেজ। হলুদ সরিষার ক্ষেত আর ফুলের বাগান মৌমাছির কলরবে মুখরিত। কুয়াশা থেকে সূর্য যখন উঁকি দেয়, তখন কুয়াশায় ভিজে যাওয়া প্রকৃতি মৃদু আলোয় ঝলমল করে।

শহরে শীতের সকাল : নগরীতে শীতের সকালগুলো একটু ভিন্নভাবে কাটে। শীতের সকালে বিভিন্ন পাখির ডাকে নয়, কাকের ডাকে নগরবাসীর ঘুম ভাঙে। শীতের সকালগুলো শহরবাসীর ঘুমের মধ্যে কাটে। শীতের সকালে তাদের কোটের উষ্ণতা। ছেড়ে কাজে ফিরে যেতে চান না।

যাদের সকালে উঠতে হয় তারাও ছুটির দিনে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। তাই শহরের মানুষ গ্রামের মানুষের মতো শীতের সকাল উপভোগ করতে পারে না। আর শহরের রাস্তাগুলো কুয়াশায় ঢেকে গেছে। মেঘলা, শিশিরও পড়ে, কিন্তু গ্রামের মতো শিশির-ভেজা ঘাসের স্পর্শে পথচারীর মন আন্দোলিত হয় না। বড়রাও শীতের সকালে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুতে চায় না, শিশুরা ঠাণ্ডা পানিতে ভয়ে পালিয়ে যায়।

নগরবাসীর সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, শীতের সকালের কুয়াশা দেখার মানসিকতা নেই। যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্তদের কাছে এটা আবেগের ব্যাপার। তবে নগরবাসী শীতের সকালকে বরণ করে নেয় রঙিন শীতের পোশাকে। কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, চাদর, মানচিত্র ইত্যাদি আরামদায়ক পোশাক পরে এবং শীতের সকালে নিজ নিজ কর্মস্থলে বের হয়।

গ্রামে শীতের সকাল : গ্রামে গ্রামে শীতের সকালে সৃষ্টি হয় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। শীতকালে সবজি, তরকারি উৎপাদন হয়। শীতের সকালে আরও তাজা খেজুরের রস পাওয়া যায়। ভাপানো পিঠার গন্ধ সকালে খিদে বাড়িয়ে দেয়। হতাশ-দরিদ্র গ্রামবাসীদের শীতকালে গরম কাপড় নেই।

রাতে তারা ঠান্ডায় কাঁপছে। আর সুজি চাচা উকি দেওয়ার আগেই মনে হয় সকাল হয়ে গেছে, সকাল হয়ে গেছে। গ্রামের মসজিদে আজান দেওয়া হয়, দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা মসজিদে আসেন নামাজ পড়তে। ধান খেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় মাঠে কাজ করতে যাচ্ছেন একজন পূর্ণভোগী কৃষক। গঞ্জের বাজারে যাও। কেনাকাটার জন্য. গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়।

মসজিদ বা মক্তবের কাছে হাঁটাহাঁটি করলে দেখা যায় ছাত্রদের উচ্চ কণ্ঠে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা। তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। সকালে একটু ঠাণ্ডা পড়লে ছেলের দল সকালবেলা আগুনে শিম জ্বালিয়ে আগুন দেয়।

শীতের সকালে নদ-নদী : আমাদের দেশে শীতকালে নদীগুলোতে তেমন পানি থাকে না। তখন নদী থেকে প্রচুর মাছ ধরা যায়। এ কারণে শীতের ভোরে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার নৌকা অল্প দূরত্বে থাকলেও কুয়াশায় দেখা যায় না। আর সেই ধোঁয়াশা ভেদ করে দূরপাল্লার নৌকা, লঞ্চ, ফেরি ইত্যাদি ভালোভাবে চলাচল করতে পারে না। তখন নদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা বাতাস।

শীতের সকালের প্রধান আকর্ষণ : শীতের সকালের প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন রকমের পিঠা। গ্রামে তখন প্রচুর খেজুরের রস পাওয়া যেত। খুব ভোরে তালগাছ থেকে হাঁড়ি নামানো হয়। শীতের সকালে এই জুস পান করা খুব ভালো। ভোরে গ্রামগঞ্জের সর্বত্রই খেজুরের রসের পায়েস খাওয়ার গুঞ্জন। গ্রামের শিশুরা দল বেঁধে মুড়ি-মুড়কি, পিঠাপায়ে খেতে পছন্দ করে। এই সময়ের প্রধান আকর্ষণ চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা। এছাড়া বাড়িতে তৈরি হয় নানা ধরনের পিঠা। তাই কবি সুফিয়া কামাল বলেছেন-

পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে
আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।

শীতের সকালের সুখ-দুঃখ : শীতের সকালে কম্বলের নিচে ছিটকে পড়া কিছুই নেই। শীতের সকালের নাস্তায় বিভিন্ন পিঠা, বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ইত্যাদি মানুষের মধ্যে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। অন্যদিকে, কনকনে শীতকালেও শীতের সকালে যাদের পরার মতো শীতের পোশাক নেই, যারা রাস্তার ধারে ঠাণ্ডা শীতের বাতাসে শুয়ে থাকেন তাদের জন্য খুব কষ্টকর।
 
শীতের সকালের অসুবিধা : ১৩ তারিখ সকালে যখন হাড় হিম করে ঠান্ডা পড়ে, তখন গ্রামের মানুষ অলসতা ও বিষণ্নতায় ভোগে। মানুষের কাজের উৎসাহ থেমে যায়। আমি কম্বল দিয়ে আরামে শুতে চাই। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র মানুষ। কবির ভাষায়, তাদের মনে একটি প্রার্থনা জাগে-

 

হে সূর্য!
তুমি আমাদের স্যাতসেঁতে ভিজে ঘরে
উত্তাপ আর আলাে দিও।

 

যানবাহন চলাচলের অসুবিধা : শীতের রাতে বা সকালে পরিবেশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। ফলে দূর থেকে কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। মনে হচ্ছে কুয়াশার সাদা পর্দা ছাড়া সামনে কিছুই নেই। এ সময় সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। নদীতে লঞ্চ-স্টিমার চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় সড়ক বা নৌপথে ভ্রমণ না করাই ভালো।

উপসংহার : শীতের সকালে শিশিরভেজা সূর্যাস্তের স্পর্শ কে না ভালোবাসে? ভালো এবং মন্দ উভয়ের সাথেই, শীতের সকাল প্রতি বছর আমাদের জীবনে দুই মাসের জন্য একটি ভিন্ন উষ্ণ অনুভূতিতে আমাদের হৃদয়কে পূর্ণ করে। কবির ভাষায় বলা যায়- ‘ধানের শীষে এক ফোঁটা শিশির’ শীতের সকালের সৌন্দর্যকে আলোকিত করে।

শীতের সকাল রচনা

=============================

শীতের সকাল রচনা

বাংলা রচনা: শীতের সকাল
শীতকাল বাংলাদেশের সবচেয়ে মায়াবী ঋতুগুলোর একটি। ঋতু তার নির্মল সকাল এবং কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সাথে একটি ভিন্ন আভা নিয়ে আসে। শীতের সকাল সত্যিই ব্যতিক্রমী, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। শীতের সকালের সৌন্দর্য অনেক কবি-সাহিত্যিকদের জন্য একটি যাদুঘর হয়েছে। এই নিবন্ধে, আমরা বাংলাদেশের একটি শীতের সকালের সৌন্দর্য অন্বেষণ করব, বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশে।

ভূমিকা
বাংলাদেশে শীতের সকাল হল কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া, ঠান্ডা বাতাস এবং চায়ের কাপের সমার্থক। বায়ুমণ্ডল নির্মল এবং প্রশান্ত, মন এবং আত্মা উভয়কেই প্রশান্তিদায়ক প্রভাব দেয়। এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের শীতের সকালের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করবে, বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশে।

গ্রামীণ শীতের সকালের নির্মলতা
বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ শীতের সকাল দেখার অভিজ্ঞতা। সকালের সূর্যের রশ্মি কুয়াশা এবং কুয়াশার মধ্য দিয়ে লুকিয়ে থাকে, প্রকৃতির একটি পরাবাস্তব দৃশ্য তৈরি করে। শান্ত পরিবেশ ভেঙ্গে যায় শুধুমাত্র প্রকৃতির শব্দে। পাখির কিচিরমিচির, পাতার কোলাহল, আর গরুর চিৎকার সব মিলে একটা নিখুঁত সিম্ফনি তৈরি করে।

গ্রামীণ বাংলাদেশে শীতের সকালের সেটিং
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালের সেটিং শহুরে সকালের থেকে একেবারেই আলাদা। দেশের রাস্তাগুলি, গাছের সাথে সারিবদ্ধ, কুয়াশাচ্ছন্ন এবং কুয়াশাচ্ছন্ন দেখায়। ঘরের খড়ের ছাদগুলো শিশির বিন্দুতে আবৃত, তাদের মনে হচ্ছে যেন তারা হীরা দিয়ে শোভা পাচ্ছে। কৃষকদের দেখা যায় শাল ও কম্বলে জড়িয়ে, কাঁধে হাতিয়ার নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে।

শীতের বাগানের সৌন্দর্য
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের একটি শীতকালীন বাগান চোখের জন্য একটি ট্রিট। শীতের ফুল, যেমন গাঁদা, পানসি এবং ডেইজি, অন্যথায় কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে রঙ যোগ করে। পাপড়িতে শিশির বিন্দু তাদের মনে হয় যেন তারা মুক্তো পরছে। সবুজ ঘাস, শিশির দিয়ে আচ্ছাদিত, একটি মখমল জমিন তৈরি করে। ফুলকপি, পালং শাক এবং মুলার মতো শীতকালীন সবজি বাগানে সতেজতা যোগায়।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালের তাৎপর্য
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকাল বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। কৃষকদের দেখা যায় মাঠের দিকে যেতে, কঠোর পরিশ্রম করতে এবং শীত মৌসুমের সর্বোত্তম ব্যবহার করে শাকসবজি ও ফসল ফলাতে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া শাকসবজি এবং ফসল সংরক্ষণে সাহায্য করে, তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা রাখে। শীতের সকালগুলি শীতের প্রথম দিনে পালিত পৌষ সংক্রান্তির বাঙালি উত্সবের প্রিয় স্মৃতিও ফিরিয়ে আনে।

শীতের সকালের পানীয়ের উষ্ণতা
ঠাণ্ডা শীতের সকালে উষ্ণ পানীয়ের আহ্বান, এবং বাঙালিদের কিছু প্রিয় রয়েছে। প্রথমটি নিঃসন্দেহে চা, যা প্রতিটি বাঙালি বাড়িতে একটি প্রধান খাবার। দ্বিতীয়টি হল একটি উষ্ণ কাপ “পিঠা-পুলি”, একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি, যা চালের আটা দিয়ে তৈরি এবং গুড় এবং নারকেল দিয়ে ভরা। তৃতীয়টি হল একটি উষ্ণ বাটি “খিচুড়ি”, ভাত, মসুর ডাল এবং সবজি দিয়ে তৈরি এক পাত্রের খাবার।

শীতের সকালের নস্টালজিয়া
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালগুলোও অতীতের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনে। বাড়ির ছাদ, দেশের রাস্তা, গরুর গাড়ি, সবই আমাদের সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় যখন জীবন ছিল সহজ। সম্প্রদায়ের উষ্ণতা, জীবনের ছোট ছোট আনন্দ, এবং পরিবার এবং বন্ধুদের বন্ধন, সবকিছুই শীতের সকালে জীবন্ত হয়ে ওঠে।

উপসংহার
উপসংহারে বলা যায়, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একটি শীতের সকাল লালন করার মতো একটি অভিজ্ঞতা। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ, নির্মল পরিবেশ এবং সম্প্রদায়ের উষ্ণতা এটিকে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা করে তোলে। শীতের সকালগুলি কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম, বিগত যুগের নস্টালজিয়া এবং বেং-এর উষ্ণতারও ইঙ্গিত দেয়।

আরো জানতে পারোঃ

FAQs
পৌষ সংক্রান্তি কি?
পৌষ সংক্রান্তি একটি বাঙালি উৎসব যা শীতের প্রথম দিনে উদযাপিত হয়। এটি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মকর সংক্রান্তি নামেও পরিচিত।

অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বাঙালি শীতের মিষ্টি কি কি?
পিঠা-পুলি ছাড়াও, বাঙালিরা শীত মৌসুমে অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি তৈরি করে, যেমন নারু, পাতিশাপ্তা এবং গুরের সন্দেশ।

বাঙালির রান্নায় শীতের সবজির গুরুত্ব কী?
শীতকালীন শাকসবজি বাঙালি রন্ধনশৈলীর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, কারণ এই ঋতুতে এগুলি তাজা এবং প্রচুর থাকে। শুকতো, ছড়াছড়ি, লাবড়ার মতো খাবার তৈরি করা হয় শীতকালীন সবজি দিয়ে।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকাল কীভাবে উপভোগ করা যায়?
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দেশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে, শীতের বাগানে গিয়ে অথবা স্থানীয়দের সাথে এক কাপ চা বা পিঠা-পুলি খেয়ে শীতের সকাল উপভোগ করা যায়।

শীত মৌসুমে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ভ্রমণের সেরা সময় কোনটি?
শীত মৌসুমে গ্রামীণ বাংলাদেশে ভ্রমণের সর্বোত্তম সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, যখন আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং শীতকালীন ফসল এবং শাকসবজি ফুলে ফুলে থাকে।

চূড়ান্ত শব্দ
উপসংহারে বলা যায়, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একটি শীতের সকাল সারাজীবনের জন্য লালনের অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির সৌন্দর্য, সম্প্রদায়ের উষ্ণতা এবং ঋতুর তাৎপর্য এটিকে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা করে তোলে। শীতের সকালগুলি একটি সহজ সময়ের প্রিয় স্মৃতি ফিরিয়ে আনে এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম আমাদের কৃষির গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই, পরের বার যখন আপনি শীতের মৌসুমে গ্রামীণ বাংলাদেশে যাবেন, দেশের রাস্তায় হাঁটতে ভুলবেন না এবং শীতের সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

শীতের সকাল রচনা

====================

শীতের সকাল রচনা ২য় শ্রেণী

শীতের সকাল রচনা ২য় শ্রেণী – একটি শীতের সকাল হল বছরের একটি যাদুকর সময় যখন সবকিছু বরফের সাদা কম্বলে আবৃত থাকে। বাতাস অনেক ঠান্ডা এবং সতেজ, এবং মনে হয় আশেপাশে সব কিছু বরফে পরিণত হয়েছে। এটি এমন একটি সময় যখন শিশুরা সকালে আগুন নিয়ে খেলতে করতে অনেক উৎসাহিত হয়, এবং প্রাপ্তবয়স্করা প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রশংসা করার সময় এক কাপ গরম চা উপভোগ করে।

 

একটি শীতকালীন সকাল একটি ছোটকালের একটি স্মৃতিময় সময় হতে পারে। তারা তাদের জানালার বাইরে তুষার আচ্ছাদিত ছাদ, গাছ এবং রাস্তা দেখতে জেগে ওঠে। তারা বাতাসে ঠাণ্ডা অনুভব করতে পারে এবং শ্বাস ছাড়ার সাথে সাথে তাদের শ্বাস কুয়াশায় পরিণত হয়। এটি এমন একটি সময় যখন তারা গরম পোশাক পরে তাদের বন্ধুদের সাথে খেলতে যেতে পারে।

 

তারা তুষারমানব তৈরি করতে পারে, স্নোবল ছুঁড়তে পারে এবং এমনকি তুষার যুদ্ধও করতে পারে। তারা শীতকালীন ক্রীড়া যেমন স্কিইং, আইস-স্কেটিং এবং স্লেডিং উপভোগ করতে পারে। এটি এমন একটি সময় যখন তারা তাদের প্রিয়জনের সাথে অবিস্মরণীয় স্মৃতি তৈরি করতে পারে।

 

একটি শীতের সকালও শেখার একটি সময় হতে পারে। শিক্ষকরা এই সুযোগটি ব্যবহার করে শিশুদের তুষার গঠনের পিছনে বিজ্ঞান, শীতের পোশাকের গুরুত্ব এবং শীতকালীন খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে শেখাতে পারেন। তারা শীত মৌসুমে শিশুদের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও শিক্ষা দিতে পারে।

 

শীতের সকাল রচনা pdf

শীতের সকাল রচনা pdfলিংক
শীতের সকাল রচনা pdfলিংক
শীতের সকাল রচনা pdfলিংক
শীতের সকাল রচনা pdfলিংক
শীতের সকাল রচনা pdfলিংক

মন্তব্য করুন

This content is protected! By banglanewsbdhub