শুক্রবারের আমল ও ফজিলত

শুক্রবারের আমল সমুহ – ভোরে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে জুমার দিন দুপুর সাড়ে বারোটার আগে গোসল করে সবার আগে আগে মসজিদে পায়ে হেটে গিয়ে, ইমামের কাছাকাছি বসে খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। মসজিদে গিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।

শুক্রবারের আমল

শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ আমল।
এমনকি সপ্তাহের অন্য যেকোন দিনের চেয়ে শুক্রবারে দরূদ পাঠ বেশি ফজীলতপূর্ণ।

সহিহ বুখারি, হাদিস-নং ৮৮১। অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, আগে আগে মসজিদে গমন করল, হেঁটে মসজিদে গেল, ইমামের কাছাকাছি বসল, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, কোনো কথা বলল না, আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রতি কদমে এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব দান করবেন।

শুক্রবারের ফজিলত
শুক্রবারের দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। শুক্রবারে আমল ও কিছু ফজিলত রয়েছে। শুক্রবার কেন আমলের জন্য উত্তম? শুক্রবারকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়।

শুক্রবারের আমল ও ফজিলত প্রধান প্রধান কিছু ফজিলত আমরা শেয়ার করেছি। জদি কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন।

শুক্রবারের আমল ও ফজিলত

শুক্রবার ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণে এর সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল জড়িত। ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন মিশ্রিত। সুবিধার জন্য, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে উল্লেখ করা হলো;

1. শুক্রবারের ফরজ ফজরের নামাযে সূরা সাজদা এবং সূরা দাহর/ইনসান পাঠ করা।

2. শুক্রবার ভালো করে গোসল করুন।

3. আপনার সেরা পোষাক.

4. সুগন্ধি ব্যবহার, যদি থাকে।

5. জুমার নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া।

6. শুক্রবার সূরা কাহাফ তেলাওয়াত।

7. মসজিদে যাওয়া এবং জুমার নামাজের আগে কমপক্ষে 4 রাকাত সুন্নাত পড়া।

8. জুমার নামাজের সময় ইমামের কাছে বসা।

9. উপদেশ মনোযোগ সহকারে শুনুন। খুতবার সময় কথা বলবেন না।

10. দুই খুতবার মধ্যবর্তী সময়ে বেশি করে নামায পড়ুন এবং জুমুআর দিনের অন্য সময়ে নামায পড়ুন। কারণ এই দিনে দোয়া কবুল হয়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জুমার হক আদায় করার তাওফীক দান করুন, আমীন।

You cannot copy content of this page

Scroll to Top