বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য – স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কর্মক্ষেত্রে বিদায় অনুষ্ঠানের দিন পরে বিদায়ী বক্তৃতা প্রয়োজন। আজ আমি উদাহরণ সহ আপনার বিদায়ী ভাষণটি একটি সুন্দর এবং মার্জিত ভাষায় কীভাবে উপস্থাপন করবেন তা নিয়ে কথা বলব। প্রথমে একটি বিদায়ী ভাষণ পড়ুন।
বিদায় বক্তব্য
বিদায়ী বক্তব্য হল যখন অফিসের কোন কর্মচারী অফিস থেকে বিদায় গ্রহণ করে তখন বিদায় ভাষণ বা কিছু বিদায় ব্যক্তির দেওয়া উপদেশ উল্লেখ করে তাকে বিদায় জানানো হয়। বিদায় বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে বিদায় উক্তি, বিদায় বাণী, উপদেশমূলক কিছু কথা ইত্যাদি।
অফিস থেকে যে সকল বিদায়ী বক্তব্য উল্লেখ করা হয়, সে সকল বক্তব্যের মধ্যে সকল বক্তব্য বাংলায় লেখা হয়, যেহেতু আমরা বাঙালি সুতরাং প্রায় অফিসে বিদায়ী বাংলা ভাষায় বক্তব্য, বিদায় বাংলা ভাষণ, বাংলায় উপদেশ মূলক কথা উক্তি বাণী ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়।
বিদায় বক্তব্য লেখা
যখন অফিসের কোন কলিং বা কর্মী বিদায় গ্রহণ করে তখন অফিসে একটি বিদায় সংবেদনা আয়োজন করা হয়। তখন আমাদেরকে বিদায় বক্তব্য লেখা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়, কারণ আমাদের শেষ বিদায় যেন ভাল হয় সে লক্ষ্যে আমরা অনলাইনে বিদায় বক্তব্য, ভাষণ, উক্তি, বাণী, উপদেশ ইত্যাদি খুঁজে থাকি।
আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে অফিসের বিদায় অনুষ্ঠানটি যেন সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং আমাদের লেখা বিদায়ী বক্তব্য গুলো যেন সঠিক এবং সফলভাবে সকলের মাঝে উপস্থিত করতে পারি। কিন্তু যদি আমরা ভালো বিদায় বক্তব্য এবং ভাষণ এবং উপদেশ না পায় তাহলে আমরা সঠিকভাবে সকলের মাঝে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি না।
এজন্য অফিসের বিদায় কর্মের মূল লক্ষ্য থাকে বিদায় বক্তব্য সঠিকভাবে লেখা লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদায়ী বক্তব্য বিদায় ভাষণ, উপদেশ, উক্তি, বাণী ইত্যাদি। লেখাগুলো গুছিয়ে সব কিছু একত্রে করে সুন্দর একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয় বিদায়ের অনুষ্ঠানে দিনে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে উপস্থাপন করার জন্য। এ জন্য বিদায় অনুষ্ঠানের সঠিক এবং সুন্দর বিদায় স্ক্রিপ্ট লেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
বিদায়ের অনুষ্ঠানের বক্তব্যের জন্য সকল কিছু অর্থাৎ স্ক্রিপ্ট রেডি করার পরে আমাদের প্রথম লক্ষ্য হয় আমরা যেন সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি অর্থাৎ বিদায়ের অনুষ্ঠানের বক্তব্য যেন সঠিকভাবে দিতে পারি।
বিদায়ের অনুষ্ঠানের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য আমাদের অবশ্যই বিদায়ী অনুষ্ঠানের ভাষণ, বিদায়ী অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা, বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ, কবিত, বাণী ইত্যাদি বাংলা ভাষায় মুখস্ত করতে হয়।
আমরা অনেকে বাংলা ভাষায় বিদায়ী বক্তব্য, ভাষণ, উপদেশ, উক্তি, বাণী আগে থেকে লিখে রাখি, বিদায়ের অনুষ্ঠানে সকল মানুষের মধ্যে সঠিকভাবে এবং সফলভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হয় বিদায় অনুষ্ঠানের ভাষণ যেন সঠিকভাবে উপস্থাপন করা।
এজন্য আমরা অনেকেই বাংলা ভাষায় সকল বক্তব্য, উপদেশ, উক্তি, বাণী লিখে নিয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেকের মাঝে সময় নাই, এজন্য সময় বাঁচানোর লক্ষ্যে অনেকে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে সুতরাং এই আর্টিকেলটির মধ্যে সকল তথ্য অবশ্যই জানতে পারবে।
আরো জানতে পারোঃ
কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
আমাদের তখনই খারাপ লাগে যখন কোন কর্মকর্তা অফিস থেকে বিদায় নিতে চাই, এজন্য আমাদের প্রথম লক্ষ্য হয় কিভাবে কর্মকর্তার সঠিকভাবে অফিস থেকে বিদায় জানানো যায় তার লক্ষ্যে একটি সফল অনুষ্ঠান। যার নাম বিদায় অনুষ্ঠান, বিদায় অনুষ্ঠানের মূল বিষয় হলো বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য, বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বসের জন্য হতে পারে অথবা কোন কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য হতে পারে।
বিদায় অনুষ্ঠানের অপর একটি মূল বিষয় হলো কর্মকর্তায় বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য দেওয়া। কারণ যখন কর্মকর্তা অবসরজনিত বিদায় নিতে চায় তখন সেই কর্মকর্তার অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য দেওয়া হয়।
অফিসের কোন কর্মকর্তা বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বক্তব্য লিখতে হয় লেখার পরে কর্মকর্তার অবসরজনিত বিদায় সম্বর্ধনা বক্তব্য উপস্থাপনার জন্য এটি অনেকে মুখস্ত করে থাকে।
কিন্তু বেশি ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা একটি পত্রে লিখে আমরা সবাই উপস্থাপন করে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি পিডিএফ করা হয় অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে।
সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
আমাদের তখনই খারাপ লাগে যখন অফিসের কোন সহকর্মে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে তাকে অফিস থেকে বিদায় জানানো হয়। খারাপ লাগার কারণ হলো আমরা দীর্ঘদিন যাবত অফিসের সহকর্মীর সাথে ওঠাবসা করেছি।
বিদায় অনুষ্ঠানের মূল বিষয় হলো বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য বক্তব্য দেওয়া। যখন সহকর্মে বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া হয় তখন আমাদেরকে অবশ্যই বক্তব্য দেয়ার জন্য, বক্তব্য লিখে রাখতে হয়।
সহকর্ম বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য সফলভাবে উপস্থাপন করতে পারলে দর্শকের হাতটা লেখা কষ্টের মধ্যেও বেশি পাওয়া যায়। অনেক সময় সহকর্মীর অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য বেশি কষ্টদায়ক হয়ে থাকে।
কারণ একজন অফিসের সহকর্মী দীর্ঘদিন যাবত কর্ম করে থাকে অফিসের। তাই তাদের জন্য অফিস ছেড়ে যাওয়াটা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। কষ্ট যতই হোক না কেন কষ্টের মধ্যে সফলভাবে বক্তব্য দেওয়াটাই প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়।
সহকর্মী বিদায় সংবর্ধনের বক্তব্য সহজ এবং বাধা নির্ভুল হয় তাহলে আমাদের উপস্থাপন করাটা অনেক সহজে এবং সকলেই তা বুঝতে পারে।
তাই একজন সহকর্মী যখন বিদায় গ্রহণ করেন তখন তার সংবেদনা বক্তব্য এমন হওয়া উচিত যেন সে চিরজীবন মনে রাখে।
কলিগের বিদায়
একজন কলিং অনেক কারণে অফিস থেকে বিদায় নিতে পারে। পারিবারিক কারণে, কর্মের কারণে, বেতনের কারণে, ইত্যাদি কারণ একজন কলিং বিদায় নেয় অফিস থেকে। বিদায় নেওয়াটা বড় বিষয় হলেও বিদায় অনুষ্ঠানের সংবেদনা দেওয়াটা সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে ওঠে।
যখন একজন কলিং অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় তখন সেভাবে এটাই তার শেষ দিন হতে পারে। কলিং এর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা সফলভাবে উপস্থাপন করার জন্য অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকে বেশি।
যখন অবসর জন্য একজন কলিং বিদায় গ্রহণ করার অফিস থেকে তখন তাকে বিদায় দেওয়ার জন্য যে সংবিধানের আয়োজন করা হয় সেখানে বক্তব্য দেওয়াটা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
আপনার বক্তব্য যদি সঠিক এবং সুন্দর এবং নির্ভুল থাকে এবং কলিং এর হৃদয়ে যদি ছুয়ে যায় তাহলে সারা জীবন আপনার কথাটি মনে রাখবে। তাই কলিং এর বিদায় অনুষ্ঠানে সংবেদনা আমাদের এমনভাবে আয়োজন করা উচিত, কলিং এর সকল মনের দুঃখ দূর হয়ে যায়।
অফিসের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
অফিসের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সবচেয়ে মূল বিষয় হলো বক্তব্য দেওয়া বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমাদেরকে স্ক্রিপ্ট লিখতে হয়। স্ক্রিপ্ট লেখায় আমরা কলিং কে বিদায় দিয়ে থাকি।
অফিসার বিদায় দেওয়ার মধ্যে থাকে, অফিসের কোন বস, কর্মকর্তা বা কলিং ইত্যাদি। অফিসের কর্মকর্তাদের বিদায় সম্বর্ধনা বক্তব্য সঠিক অবস্থায় অফিসে উপস্থিত সকল দর্শক বা কর্মকর্তা মনোযোগ সহকারে অফিসের কর্মকর্তা বিদায় সম্ভাবনা বক্তব্য গুলো উপভোগ করে থাকে।
তাই অফিসের কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনাটা এমন হওয়া উচিত যেন সহজ এবং সফলভাবে উপস্থাপন করা যায় সকল কর্মকর্তাদের মধ্যে। যখন অফিসের বসের বিদায় সংগঠনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয় তখন অনেকে হতভাগ হয় আবার অনেকে কষ্ট পায় আবার অনেকেই আনন্দ উপভোগ করে।
কারণ অফিসের বস অনেকের কাছে ভালো, অনেকের কাছে খারাপ, আবার অনেকের কাছে হাসির হয়ে থাকে। অফিসের কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য এছাড়াও অফিসের সহকর্মীদের বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য এছাড়াও অফিসের বসের বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য পেতে আরো জানতে হবে।
চাকরি থেকে বিদায় বক্তব্য
এতক্ষণ আমরা বক্তব্য নিয়ে অর্থাৎ বিদায় বক্তব্য নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা করেছি যেখানে রয়েছে, অফিসের কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠান, অফিসের কলিং এর বিদায় অনুষ্ঠান অফিসের বসের বিদায় অনুষ্ঠানের ইত্যাদি।
সকল বিষয়ে এখনও এবার চাকরি থেকে বিদায় সংবর্ধনা কিভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।
চাকরি থেকে বিদায় সম্ভাষণ বক্তব্য কিভাবে দেওয়া যায়, চাকরি থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য যে আয়োজন করা হয় এটাকে বলা হয় বিদায় সংবেদনা। চাকরি থেকে বিদায় অথবা অবসরজনিত চাকরি থেকে বিদায় দেওয়ার সবচেয়ে মূল বিষয় বিধায় সম্বোধনের বক্তব্য এটি সঠিক হলে বিদায় অনুষ্ঠানটির সঠিক এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।
নিজের বিদায়ী ভাষণ
অফিসের বস, অফিসের কর্মকর্তা, বা অফিসের কলিং এর বিদায়ের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মূল বিষয় হয়ে ওঠে নিজের বিজয় ভাষণটি। নিজের বিদায় ভাষণটি যদি সুন্দর এবং সুদর্শন বা সহজ ভাষায় উল্লেখিত হয় তখন সকলে নিজের বিদায়ের ভাষণটি উপভোগ করে থাকেন।
অর্থাৎ আপনি যখন নিজের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য দিবেন তখন আপনার দেওয়া বক্তব্যটি যেন সবাই ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে সেটি লক্ষ্য করতে হবে।
সকলের মনে আঘাত দেওয়ার জন্য আমাদের একটি কথা রয়েছে যেটি আমরা নিচে শেয়ার করেছি ।
বিদায় বক্তব্য অর্থাৎ বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা
আসসালামু আলাইকুম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন আমাদের কোম্পানির এমডি সাহেব, আরো উপস্থিত আছেন অত্র কোম্পানির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম আসসালামু আলাইকুম। অন্যান্য জাতির প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
বিদায়ের বেদনা
আপনারা সবাই অবগত আছেন যে আমাদের সাথে দীর্ঘদিন কর্মরত মোঃ ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের বদলী হওয়া উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদায় নিতে মন চায়না, তবুও বরণ করে নিতে হয় বিদায় নামক শব্দটিকে। বিদায়ের হাত ধরেই আপনার জীবনে নতুন কিছুর যাত্রা শুরু হোক।
ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের অবদান
দীর্ঘদিন যাবত মোহাম্মদ ইখতিয়ার ভাই আমাদের কোম্পানিতে সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছে। তিনি সবসময় আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভালো করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আজ এতো সফলতা অর্জন করার পিছনে তার ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে আমাদের প্রতিষ্ঠান যখন করোনা মহামারীর সময়ে একদম ভেঙে পড়েছিল। তখন তিনি কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাজে কখনো পিছিয়ে পড়েন নি।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক কর্মকর্তা ছিলেন, যারা করোনা মহামারীর সময়ে ঠিকমতো অফিসে আসেননি বা আসার চেষ্টা করেননি। কিন্তু সেই সময় মোহাম্মদ ইখতিয়ার আলী ভাই নিয়মিত অফিসে এসে এই পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভালো জন্য কাজ করেছেন। যা অন্যান্য সকল কর্মকর্তার মাঝে এমন দৃষ্টান্ত ছিল না। যে দৃষ্টান্তগুলো শুধু তার মধ্যেই আমরা পেয়েছি।
ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের আচার ব্যবহার
তিনি সবসময় সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। তার আচার ব্যবহার ছিল অত্যন্ত সুন্দর। তিনি সবসময় আমাদেরকে সম্মান করতেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ কর্মকর্তা। তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।
ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের সহযোগিতা
যদিও তিনি আমার সহকর্মী ছিলেন। কিন্তু সব সময় আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো সকল কাজে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। আমার এখনো মনে পড়ে, যখন প্রথম আমি এই অফিসে জয়েন করি তখন আমার অফিসে কাজের বিষয়ে সঠিক ধারণা ছিল না। তখন তিনি আমাকে সব সময় কাজে সহযোগিতা করতেন। যখন নতুন একজন কর্মকর্তা আসলে অন্যান্য সকল কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের আদেশ করেন। কিন্তু মোঃ ইখতিয়ার আলী ভাই ছিলেন এর বিপরীতে। নতুন অবস্থায় আমাকে সব সময় অনেক কাজে সহায়তা করেছেন।
ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের মহানুভবতা
শুধু অফিসের কাজেই নয় পারিবারিক ও অন্যান্য সকল সমস্যার সমাধান খুব সহজেই তার কাছে পেয়ে যেতাম। একবার আমি পারিবারিক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমার টাকার খুব প্রয়োজন ছিল। আমি আমার বন্ধুবান্ধব ও নিকট আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোথাও টাকা ধার পাইনি। সর্বশেষ আমি যখন ইখতিয়ার আহমেদ ভাইকে টাকা ধারের কথা বলি। তখন খুব সহজে সে আমাকে টাকা ধার দেয়। তার টাকা পরিশোধ করতে আমরা এক মাসে দেরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একটা কথাও আমাকে বলেননি। এটা থেকে বোঝা যায় তিনি অনেক বড় মনের একজন মানুষ ছিলেন।
ইখতিয়ার আহমেদ ভাইয়ের সততা
সততার দিক থেকে ইখতিয়ার আহমেদ ভাই অনেক এগিয়ে ছিলেন। তিনি সর্বদা সবসময় সত্য কথা বলতেন। যা থেকে আমাদের সকল সহকর্মীর মধ্যে সততা ভাব চলে এসেছিল। তার কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন শিক্ষা অর্জন করেছি। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ধর্মীয় শিক্ষা। অফিসে যখনই আমরা সবাই অবসর সময় পেতাম। তখন ইখতিয়ার ভাই আমাদের মধ্যে ধর্মীয় আলোচনা শুরু করত।
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
প্রিয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠী, প্রবীণ ও প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা, সবাইকে আমার সালাম।
আজকের এই বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা চলে যাচ্ছি তাদের জন্য এই দিনটি একই সাথে আনন্দের এবং গভীর বেদনাদায়ক। বিদায় সাময়িক বা চিরকালের, দুটোই বেদনাদায়ক।
আজ থেকে ৫ বছর আগে আমরা এই স্কুলের আঙিনায় হেঁটেছিলাম। চোখের পলকে কেটে গেল দীর্ঘ পাঁচটি বছর। এই ক্যাম্পাসের অ্যালামনাই রেজিস্টারে আমরাও নাম লিখতে যাচ্ছি ভাবতে খারাপ লাগে।
আমরা সবাই জানি, বিদায় মানেই নতুন কিছুর শুরু। আমরা এই বিদ্যালয় থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমরা এখানে অনেক সুখ-দুঃখের স্মৃতি রেখে যাচ্ছি। এই বিদ্যালয় আমাদের জন্য একটি পরিবারের মতো।
আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদেরকে মানুষ হতে শিখিয়েছে। তারা আমাদেরকে শুধু বইয়ের জ্ঞানই দেয়নি, তারা আমাদেরকে জীবনের অনেক মূল্যবান শিক্ষাও দিয়েছেন।
আমরা আমাদের অভিভাবকদের কাছেও কৃতজ্ঞ। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা এতদূর আসতে পারতাম না।
প্রিয় সহপাঠী, স্কুলের বেশিরভাগ সময় কেটেছে তোমাদের সাথে। এই সময়গুলো আমরা কখনই ভুলতে পারব না। আমরা আবার দেখা হবে, একদিন।
আমি আমার বক্তব্য দীর্ঘ করতে চাই না। অশ্রুসজল চোখে আজ তোমাকে বিদায় জানাচ্ছি। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন অনেক দূর যেতে পারি, প্রতিষ্ঠিত হতে পারি এবং দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে পারি।
আসসালামু আলাইকুম।
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য – একনজরে
কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:
-
-
- “এই পথে আপনি সবসময় মনোযোগী এবং উৎসাহী ছিলেন, এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞান ছিল। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!”
-
সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:
-
-
- “আমরা একটি দক্ষ এবং সমগ্র দল ছিলাম। সবাইকে ভালোবাসি এবং সফলতা অসীম হোক!”
-
অফিসের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:
-
-
- “এই অফিসে যাওয়া সময় আমি সমৃদ্ধি এবং উন্নতির অনেক অসীম অংশ পেয়েছি। সকলের কাছে ধন্যবাদ!”
-
বিদায় বক্তব্য:
-
-
- “এই বিদায় মোমেন্টে আমি অনেক স্বভাবে বদলে গেছি, কিন্তু সবসময় আপনাদের সাথে একটি অমূল্য সংস্কার রয়েছে। শুভকামনা এবং আবার দেখা হবে!”
-
সহকর্মীর বিদায়ী বক্তব্য:
-
-
- “সময়ের সাথে সাথে একজন অসুখী সাহকর্মী থেকে একজন পরিক্রমণশীল এবং সফল সহকর্মী হয়ে উঠলাম। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!”
-
চাকরি থেকে বিদায় বক্তব্য:
-
-
- “এই চাকরি আমার জীবনের একটি অমূল্য অধ্যায। আপনাদের সমস্ত সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ!”
-
বিদায় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা:
-
-
- “এই বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করা হলো স্মৃতিময় এবং সবার জন্য একটি অমূল্য অভিজ্ঞান। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!”
-
- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্য নমুনা:
-
-
- “সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া হলো আমার জীবনের একটি অমূল্য অধ্যাযের উদ্ভাস। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!”
-
-
স্কুলের বিদায়ী বক্তব্যে কি বলতে হয়?
- আমি চলে যাওয়ার সময়, আমি এই আশ্চর্যজনক দিনের জন্য আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। এটা সবসময় আমার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান ধরে রাখবে। আমরা অনেক বছর আগে স্কুলে যোগদান করেছি; যাইহোক, এটি গতকাল ছিল, এবং প্রস্থানের সময় খুব তাড়াতাড়ি এসে গেছে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত কঠোর, শীতল এবং প্রেরণাদায়ক।
ভালো বিদায়ী বক্তব্য কিভাবে শুরু করবেন?
“সবাইকে হ্যালো! আজকে আমার সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ যেহেতু আমি আপনাদের সবাইকে বিদায় জানাচ্ছি। আমি ABC কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার 15 বছর হয়ে গেছে এবং আমি এর প্রতিটি মুহূর্তকে ভালোবাসি। সবসময় এই কোম্পানির সাফল্যের মেরুদণ্ড হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চলে যাওয়া বক্তৃতায় কি বলে?
আপনি কাজের অংশগুলির জন্য কৃতজ্ঞ, যেমন আপনার বন্ধুত্ব এবং আপনার শেখার সুযোগ রয়েছে। কোম্পানি এবং আপনার সহকর্মীদের বিশেষ স্মৃতি, মজার উপাখ্যান সহ। কেন আপনি কোম্পানি ছেড়ে যাচ্ছেন এবং আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা। আপনার সহকর্মীদের জন্য আপনার আশা এবং শুভেচ্ছা.
শ্রেষ্ঠ বিদায়ী ভাষণ কোনটি?
প্রিয় বন্ধু, ছাত্র এবং শিক্ষক, এটি একটি উদযাপনের দিন। আসুন আমরা এই বিদায়টিকে আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেরা করে তুলি। আমাদের স্কুল জীবনকে বিদায় জানাতে গিয়ে কিছু অশ্রু ঝরবে, কিছু হাসি ভাগাভাগি হবে। আপনি এই মুহূর্তটি আপনার বাকি জীবনের জন্য সর্বদা উপভোগ করবেন।
সিনিয়র বিদায় ভাষণে কি বলে?
সিনিয়রদের জন্য ইংরেজিতে দীর্ঘ বিদায়ী ভাষণ
আমি তাদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য সকলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি মিশ্র অনুভূতি কারণ এটি একটি অত্যন্ত আনন্দের কিন্তু দুঃখের মুহূর্ত কারণ তারা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন এবং অন্যদিকে, আমরা আমাদের প্রিয় সিনিয়রদের থেকে বিচ্ছিন্ন হব।
উপসংহার
একজন কর্মচারীর বদলির কারণে আজকের বিদায়ী বক্তৃতা/সংবর্ধনা সম্পর্কে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ছিল। আসলে বিদায়ী ভাষণ দিতে হয় সংগঠনের অবস্থা ও ধরন অনুযায়ী। উপরের বিবৃতিটি একটি নমুনা চিঠি মাত্র।
আপনি ইচ্ছা করলে বক্তৃতা আরও সুন্দর করে তুলতে পারেন। আমরা শুধুমাত্র বিদায়ী ভাষণ কিভাবে দিতে হয় তার একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আজকের লেখাটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান। এরকম আরো আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
স্কুলের বিদায়ী বক্তব্যে কি বলতে হয়?
আমি আমার সমস্ত বন্ধু এবং শিক্ষক সহ আপনাদের প্রত্যেককে মিস করব। আমরা ক্যান্টিনে একসাথে কাটানো এবং খাবার খাওয়ার সময় মিস করব। এই বিদায় আমরা বছরের পর বছর ধরে যে সমস্ত বন্ধন তৈরি করেছি তার শেষ নয়, তবে এটি আমাদের ক্যাম্পাস জীবনের বিদায়।
বয়স্কদের বিদায় জানানোর উপায়?
বছরের পর বছর ধরে তাদের সমস্ত সমর্থন, ভালবাসা, যত্ন এবং অনুপ্রেরণার জন্য আমি আমার সিনিয়রদের একটি বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজ আমাদের জন্য একটি খারাপ মুহূর্ত যাইহোক, আমাদের সবাইকে বিদায় জানাতে হবে।