অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়মঃ  একটি অঙ্গীকারনামা একটি আইনগতভাবে প্রয়োগযোগ্য লিখিত চুক্তি যা তার পক্ষগুলির মধ্যে পারস্পরিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা তৈরি করে, সংজ্ঞায়িত করে এবং পরিচালনা করে। একটি চুক্তিতে সাধারণত পণ্য, পরিষেবা, অর্থ হস্তান্তর বা ভবিষ্যতের তারিখে যে কোনও একটি স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি জড়িত থাকে।

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

১. প্রতিশ্রুতি ফর্ম্যাট করা আপনার কীভাবে বিভাগগুলি ফাঁকা করে এবং কোন বিভাগগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে তা নিয়ে।

২. পৃষ্ঠার শীর্ষে আপনি যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তার আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নাম টাইপ করুন।

২. একটি লাইন এড়িয়ে যান এবং প্রতিশ্রুতি কার্যকর হওয়ার তারিখটি টাইপ করুন। তারিখটি এই ফর্ম্যাটে লেখা উচিত: ফেব্রুয়ারী , ২০২২ এর এই ২৭ তম দিন।

৩. পরবর্তী বিভাগে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কে অন্তর্ভুক্ত করুন, যা তারিখের নীচে এক লাইনের ব্যবধানে রয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি বিভাগকে এক লাইন আলাদা করে রাখুন। এই বিভাগে অঙ্গীকারের সাথে জড়িত সমস্ত পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যদি লোকদের অঙ্গীকার স্বাক্ষর করতে বলছেন, তবে তাদের নাম পূরণের জন্য একটি ফাঁকা জায়গা ছেড়ে দিন।

৪. পরবর্তী বিভাগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সমস্ত কিছুর তালিকা করুন।

৫. স্বাক্ষর হওয়ার জন্য অঙ্গীকারের শেষে একটি ফাঁকা রেখা যুক্ত করুন। এটি ব্যক্তি বা কোনও কোম্পানির মালিকের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে পারে।

৬. সাক্ষীদের স্বাক্ষর করার জন্য স্বাক্ষর রেখার নীচে কয়েকটি স্থান অন্তর্ভুক্ত করুন। “নিম্নলিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এই বিভাগটি লেবেল করুন:” এবং স্বাক্ষর করার জন্য কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর জন্য স্থান রেখে দিন।

স্ট্যাম্প পেপারে যা যা লিখতে হবে

  • প্রথমে চুক্তির তারিখ লিখতে হবে চুক্তিপত্রে চুক্তি গ্রহণকারী পক্ষগুলোর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম,  ঠিকানা,  মোবাইল নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার উল্লেখ করতে হবে চুক্তি পত্রের উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে।  অর্থাৎ কোন কারনে চুক্তিপত্রটি লেখা হচ্ছে  সেই বিষয়টি উল্লেখ আবশ্যক।
  • উক্ত চুক্তিতে চুক্তি গ্রহণকারী কোন পক্ষ কি ভূমিকা পালন করবে সেটি বর্ণনা করতে হবে এরপরে শব্দটি একটি জরুরি বিষয় সেটি হল চুক্তির মেয়াদ কাল।
  • এটি উল্লেখ করতে হবে বাধ্যতামূলক চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে চুক্তিপত্রের নিচে উভয় পক্ষের সাক্ষ্যর এবং  উভয়পক্ষের সাক্ষী গনের সাক্ষ্যর প্রদান করতে হবে সবচেয়ে যেটি আছে সেটি হল চুক্তিভঙ্গের ফলাফল।
  • কোন পক্ষ যদি চুক্তিটি ভঙ্গ করে তাহলে ভবিষ্যৎ ফলাফল কি হবে সেটি এখানে নির্ধারণ করে দিতে হবে।

যেই শর্তাবলীর ভিত্তিতে চুক্তিপত্র আইনগত দিক থেকে কার্যকর হবে

চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক, সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে। প্রত্যেক  চুক্তিতে অবশ্যই একজন অপর একজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে এবং অপর ব্যক্তি উক্ত প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করে কোন কিছু প্রতিদান করতে হবে। প্রতিদান ব্যতিত কোনো চুক্তিই কার্যকর হবে না ।

অঙ্গীকারনামা লেখার সঠিক নিয়ম

আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী……………পিতাঃ……………………. মাতা…………….পেশা………….ঠিকানাঃ…………….. বয়স………..ধর্ম……….জাতীয়তা……….জাতীয় পরিচয়পত্র নং…..

এ মর্মে অঙ্গীকার পূর্বক ঘোষণা করছি যে, ( ব্যক্তি যে যে বিষয়ের উপর অঙ্গীকার করবেন সেইসব শর্তাদি উল্লেখ করতে হবে এবং সেই সব বিষয়ে নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করতে হবে াসদল 1,2,3,4 …………।+)

কোন আইনি জটিলতায় বিষয় থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে (শর্তাবলী ভিতর থাকলে প্রয়োজন ক্ষেত্রে)

আমি  ঘোষণা করছি যে, আমি সম্পূর্ণ স্বজানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এবং কারো কেন প্ররোচনা ব্যতীত এ অঙ্গিকার নামায় সাক্ষর করিলাম।

তারিখঃ (বাম পাশে)

সাক্ষর, , (ডান পাশে)

মোবাইল নম্বরঃ

ইমেইলঃ

You cannot copy content of this page