বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বাংলাদেশী আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বাংলাদেশী আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ – সায়মা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রথম বাংলাদেশী আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি WHO-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন, যা ১১টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত।

সায়মা ওয়াজেদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বাংলাদেশী আঞ্চলিক পরিচালক

ওয়াজেদ তার নতুন ভূমিকার জন্য উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন যে তিনি WHO-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার উন্নতির জন্য কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওয়াজেদের নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি দেখায় যে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে একটি শক্তি হয়ে উঠছে এবং বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ভোটগ্রহণ হয়। সদস্য দেশগুলো সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করার পক্ষে ভোট দেয়।

বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও তিমুর-লেস্তে এই দশ দেশ ভোট দেয়। তবে মিয়ানমার ভোটে অংশ নেয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ডব্লিউএইচওর ১৫৪তম অধিবেশনে এই মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের উপদেষ্টা।

সায়মা ওয়াজেদের মনোনয়নকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে যা আপনি আপনার লেখালেখিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন:

  • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা।
  • তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
  • তিনি ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
  • তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার।

সায়মা ওয়াজেদ এর শিক্ষা জীবন ও অর্জন

 

সাল সায়মা ওয়াজেদ এর অর্জন
১৯৯৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৪ ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।
২০০৮ শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন।
২০০৯ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক “হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে” ভূষিত হন।
২০১৩ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
২০১৬ জনস্বাস্থ্যে তার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল পুরস্কার অর্জন করেন।
২০১৭ প্রতিবন্ধী ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৮ ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পদক প্রাপ্ত হন।
২০২১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

মন্তব্য করুন

You cannot copy content of this page