ম্যারাথন চুলকানি! এটা হঠাৎ শুরু হয়। আপনি যদি অবহেলা করেন যে কিছু আপনাকে কামড় দিয়েছে, তাহলে চুলকানির তীব্রতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরের কিছু অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। জায়গাটা লাল হয়ে ফুলে যায়। কয়েক ঘণ্টার কষ্টের পর হঠাৎ করেই সব মিলিয়ে যায়। শ্বাস ছাড়ুন। কিন্তু এই ধরনের চুলকানির আক্রমণ সময়ে সময়ে সর্বত্র শুরু হয়। কমছে ভেবে কিছুক্ষণ চুলকানি সহ্য করলেই সমস্যার সমাধান হয় বলে মনে করেন তিনি। আশ্বস্ত না হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই জরুরি। চুলকানি কি কারনে হয়েছে সেটা সঠিকভাবে নির্নয় করতে পারলে সহজেই চুলকানির চিকিৎসা করা যায়। তবে যে কোন ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজ দায়িত্বে ওষুধ ব্যবহার করে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিবেন না।
চুলকানি দূর করার ঔষধ – চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম
চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে এমন ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অ্যান্টিহিস্টামিন (চুলকানি, হাঁচি ও সর্দিতে ব্যবহৃত হয়)
- ডাইফেনাহাইড্রামিন
- সিটিরিজিন
- লোরাটিডিন
- ডেসলোরাটিডিন
- ফেক্সোফেনাডিন
- টপিক্যাল অ্যান্টিহিস্টামিন
চুলকানি দূর করার ঔষধ
কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ত্বকের চুলকানিতে অত্যন্ত কার্যকরী:
- Alatrol
- Oradin
- Atarax 25mg (Hydroxzine Hydrochloride Tablet)
- Darma 50
- Sedno
- Diphenhydramine
- Cetrizine
- Loratadine
- Desloratadine
- Fexofenadine
- Fungin
- Fungin- B
- Fungidal- HC
- Pevisone
- Antifungal Cream
চুলকানি দূর করার ঔষধ
চুলকানি দূর করার ঔষধ – চুলকানি কত হয়েছে?
চুলকানি—জিনিসটা যত ছোট শোনাক, যখন ত্বকে শুরু হয়, তখন তার যন্ত্রণা অনেকটাই অসহ্য হয়ে উঠতে পারে। হোক সেটা মশার কামড়, একজিমা, সোরিয়াসিস বা অ্যালার্জি—এই উপসর্গ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে আমাদের প্রয়োজন সঠিক অ্যান্টি-ইচ ওষুধ। এই লেখায় আমরা খুব সহজভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কোন ধরনের চুলকানিতে কোন ধরনের ওষুধ কার্যকর, আর কী বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১. টপিকাল ক্রিম বা মলম (ত্বকে ব্যবহারের জন্য)
এই ধরনের ওষুধ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- হাইড্রোকোর্টিসোন: হালকা একজিমা বা অ্যালার্জিতে
- ক্যালামাইন: মশা বা পোকামাকড় কামড়ালে
- মেন্থল: ঠান্ডা অনুভূতি দিয়ে চুলকানি কমায়
সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি চুলকানিতে ব্যবহার হয়।
২. মুখে খাওয়ার অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ
যারা অ্যালার্জিজনিত চুলকানিতে ভুগছেন, তাদের জন্য এই ওষুধ বেশ কার্যকর।
- সেটিরিজিন (Zyrtec) – দিনে একবার
- ডিফেনহাইড্রামিন (Benadryl) – ঘুমঘুম ভাব আনতে পারে
রাতে ঘুমাতে সমস্যা হলে Benadryl কার্যকর হতে পারে।
৩. অ্যানেস্থেটিক বা অসাড়কারী ক্রিম
ত্বককে সাময়িকভাবে অসাড় করে দেয়, ফলে চুলকানি কমে যায় কিছুক্ষণের জন্য।
- প্রমোক্সিন
- বেনজোকেইন
দ্রুত আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
৪. ইমিউনোমোডুলেটর (ডাক্তারের পরামর্শে)
এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘস্থায়ী একজিমা বা তীব্র চুলকানিতে ব্যবহৃত হয়।
- এলাইডেল (Elidel)
- প্রোটোপিক (Protopic)
ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. স্টেরয়েড — গুরুতর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত
যদি চুলকানি খুব তীব্র হয় এবং অন্য কিছুতে কাজ না হয়, তাহলে ডাক্তাররা সাধারণত স্টেরয়েড দেন।
- মৌখিক: Prednisone
- টপিকাল: Triamcinolone
- ইনজেকশন: নির্ধারিত মাত্রায়
নিজে থেকে শুরু করবেন না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
মনে রাখবেন:
- সব ওষুধ সবার জন্য নয়।
- গর্ভবতী নারী, শিশুরা বা যাদের অন্য রোগ আছে—তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- একই ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহারে কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
অ্যালার্জিক চুলকানির জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
চুলকানি কমাতে কিছু বিষয় আছে যা অনুসরণ করতে পারেন:
- শুষ্ক ত্বক বেশি চুলকায়। তাই সাবানের ব্যবহার কমাতে হবে।
- ত্বকের শুষ্কতা কমাতে লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- হালকা ও সুতি কাপড় পরতে হবে। (বিশেষ করে উল বা পলিয়েস্টার কাপড় চুলকানি বাড়ায়।)
- উচ্চ তাপমাত্রা বা তাপের কারণে চুলকানি বেড়ে যায়।
- কিছু ওষুধ আছে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেকোনো ওষুধে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ডাক্তারকে জানাতে হবে।
- গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুকিয়ে যায় এবং শুষ্ক ত্বকে অ্যালার্জিজনিত চুলকানির প্রবণতা বেশি থাকে।
- যদি কোনো খাবারে অ্যালার্জিজনিত চুলকানি হয়, তাহলে সেই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- এলার্জি চুলকানি বা চুলকানি হয়। কিন্তু ঘামাচি করলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।
নতুন ঘরোয়া উপকরণ:
বর্তমানে আরও কিছু নতুন ঘরোয়া উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে:
- অ্যালো ভেরা: অ্যালো ভেরা গাছের জেল ত্বকে লাগালে তা ঠাণ্ডা অনুভূতি দেয় এবং ত্বককে শান্ত রাখে।
- ওটমিল: ওটমিলের প্রয়োগ ত্বকের রুক্ষতা কমায় এবং ত্বককে মসৃণ করে।
- নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুলকানি কমায়।
- গোলাপ জল: গোলাপ জল ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং লালভাব কমাতে সাহায্য করে।
এলার্জি চুলকানি বা সাধারণ চুলকানি চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া এবং ঔষধি পদ্ধতি অনুসরণ করলে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া যায়। আরো জানুন;
🧾 উপসংহার
চুলকানি একদিকে ছোট সমস্যা মনে হলেও, অনেকের জন্য এটা প্রতিদিনের কষ্টের নাম। ঠিক ওষুধ বেছে নিতে পারলেই মিলতে পারে দ্রুত আরাম। তবে চুলকানির কারণ বুঝে তারপরই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। স্বাস্থ্য সব কিছুর আগে। তাই প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।