সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ | Ramadan Calendar 2024 Bangla

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ প্রকাশ  করা হয়েছে। সুতরাং এই নিবন্ধনটি যদি সম্পন্ন করো তাহলে আশা করি ২০২৪ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানতে পারবে। এই নিবন্ধনটি সকল জেলার জন্য প্রযোজ্য কারণ সকল জেলার মানুষের জন্য এই নিমন্ত্রণটি প্রকাশ করা হয়েছে।

Ramadan Calendar 2024 Bangla

প্রথম  তারাবি ১১ মার্চ, সোমবার সন্ধ্যায়
প্রথম  রোজা ১২ মার্চ, মঙলবার
লায়লাতুল কদর ০৭ এপ্রিল, সোমবার
 ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ দুবাই

ইসলামিক ফাউন্ডেশন রোজার সময়সূচি ২০২৪

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ ঢাকা

নিম্নলিখিত সময় সারণী 100% সঠিক নাও হতে পারে। কারণ রোজার  সময়  চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আমরা এই পোস্টটি নিয়মিত আপডেট করব, আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:51 AM 6:10 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:50 AM 6:10 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:49 AM 6:11 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:48 AM 6:11 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:47 AM 6:12 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:46 AM 6:12 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:45 AM 6:12 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:44 AM 6:13 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:43 AM 6:13 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:42 AM 6:13 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:41 AM 6:14 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:40 AM 6:14 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:39 AM 6:14 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:38 AM 6:15 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:36 AM 6:15 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:35 AM 6:16 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:34 AM 6:16 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:33 AM 6:17 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:31 AM 6:17 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:30 AM 6:18 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:29 AM 6:18 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:28 AM 6:19 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:27 AM 6:19 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:26 AM 6:19 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:24 AM 6:20 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:24 AM 6:20 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:23 AM 6:21 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:22 AM 6:21 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:21 AM 6:21 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:20 AM 6:22 PM

ঢাকা বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
নরসিংদী -২ মিনিট -১ মিনিট
গাজীপুর -১ মিনিট ঢাকার সঙ্গে
শরীয়তপুর +২ মিনিট -১ মিনিট
নারায়ণগঞ্জ ঢাকার সঙ্গে -১ মিনিট
টাঙ্গাইল ঢাকার সঙ্গে +২ মিনিট
কিশোরগঞ্জ -২ মিনিট -১ মিনিট
মানিকগঞ্জ +১ মিনিট +২ মিনিট
মুন্সিগঞ্জ ঢাকার সঙ্গে -১ মিনিট
রাজবাড়ী +৪ মিনিট +৪ মিনিট
মাদারীপুর +২ মিনিট ঢাকার সঙ্গে
গোপালগঞ্জ +৪ মিনিট +১ মিনিট
ফরিদপুর +২ মিনিট +২ মিনিট
রমজানের সময়সূচি ২০২৪ ঢাকা বিভাগ

রাজশাহী বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
সিরাজগঞ্জ +১ মিনিট +৪ মিনিট
পাবনা +৪ মিনিট +৫ মিনিট
বগুড়া +১ মিনিট +৬ মিনিট
রাজশাহী +৫ মিনিট +৮ মিনিট
নাটোর +৪ মিনিট +৭ মিনিট
জয়পুরহাট +২ মিনিট +৮ মিনিট
চাঁপাইনবাবগঞ্জ +৬ মিনিট +১০ মিনিট
নওগাঁ +৩ মিনিট +৮ মিনিট

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ রাজশাহী বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:55 AM 6:17 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:44 AM 6:18 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:53 AM 6:18 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:52 AM 6:19 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:51 AM 6:19 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:50 AM 6:20 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:49 AM 6:20 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:48 AM 6:20 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:47 AM 6:21 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:46 AM 6:21 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:45 AM 6:22 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:44 AM 6:22 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:43 AM 6:22 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:42 AM 6:23 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:41 AM 6:23 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:40 AM 6:24 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:39 AM 6:24 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:37 AM 6:25 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:36 AM 6:25 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:35 AM 6:26 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:34 AM 6:26 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:33 AM 6:27 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:32 AM 6:27 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:31 AM 6:28 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:30 AM 6:28 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:29 AM 6:29 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:28 AM 6:29 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:27 AM 6:30 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:26 AM 6:30 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:25 AM 6:31 PM

চট্টগ্রাম বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
কুমিল্লা -৩ মিনিট -৪ মিনিট
ফেনী -২ মিনিট -৫ মিনিট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ মিনিট -৩ মিনিট
রাঙ্গামাটি -৪ মিনিট -৯ মিনিট
নোয়াখালী -১ মিনিট -৪ মিনিট
চাঁদপুর ঢাকার সঙ্গে -২ মিনিট
লক্ষ্মীপুর -১ মিনিট -৩ মিনিট
চট্টগ্রাম -২ মিনিট -৮ মিনিট
কক্সবাজার -১ মিনিট -১০ মিনিট
খাগড়াছড়ি -৫ মিনিট -৮ মিনিট
বান্দরবান -৪ মিনিট -১০ মিনিট

 

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ চট্টগ্রাম বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:48AM 6:01 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:47 AM 6:02 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:46 AM 6:02 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:45 AM 6:03PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:44 AM 6:03 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:43 AM 6:03 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:42 AM 6:04 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:41 AM 6:04 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:40 AM 6:05 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:39AM 6:05 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:38 AM 6:06 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:37 AM 6:06 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:36 AM 6:06 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:35 AM 6:07 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:34 AM 6:07 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:33 AM 6:08 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:32 AM 6:08 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:30 AM 6:09 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:29AM 6:09 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:28 AM 6:10 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:27 AM 6:10 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:26 AM 6:11 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:25 AM 6:11 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:24 AM 6:12 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:23 AM 6:12 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:22 AM 6:13 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:21 AM 6:13 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:20 AM 6:14 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:19 AM 6:14 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:18 AM 6:15 PM

বরিশাল বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
ঝালকাঠি +৩ মিনিট -১ মিনিট
পটুয়াখালী +৪ মিনিট -২ মিনিট
পিরোজপুর +৫ মিনিট ঢাকার সঙ্গে
বরিশাল +২ মিনিট -২ মিনিট
ভোলা +২ মিনিট -৩ মিনিট
বরগুনা +৫ মিনিট -২ মিনিট

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ বরিশাল বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:52 AM 6:07 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:51 AM 6:08 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:50 AM 6:08 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:49 AM 6:09 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:48 AM 6:09 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:47 AM 6:10 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:46 AM 6:10 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:45 AM 6:10 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:44 AM 6:11 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:43 AM 6:11 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:42 AM 6:12 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:41 AM 6:12 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:40 AM 6:12 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:39 AM 6:13 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:38 AM 6:13 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:37 AM 6:14 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:36 AM 6:14 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:34 AM 6:15 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:33 AM 6:15 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:32 AM 6:16 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:31 AM 6:16 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:30 AM 6:17 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:29 AM 6:17 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:28 AM 6:18 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:27 AM 6:18 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:26 AM 6:19 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:25 AM 6:19 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:24 AM 6:20 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:23 AM 6:20 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:22 AM 6:21 PM

খুলনা বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
যশোর +৬ মিনিট +৪ মিনিট
সাতক্ষীরা +৮ মিনিট +৪ মিনিট
মেহেরপুর +৭ মিনিট +৭ মিনিট
নড়াইল +৫ মিনিট +২ মিনিট
চুয়াডাঙ্গা +৬ মিনিট +৬ মিনিট
কুষ্টিয়া +৫ মিনিট +৫ মিনিট
মাগুরা +8 মিনিট +৩ মিনিট
খুলনা +৬ মিনিট +২ মিনিট
বাগেরহাট +৫ মিনিট +১ মিনিট
ঝিনাইদহ +৫ মিনিট +৫ মিনিট
রমজানের সময়সূচি ২০২৪ খুলনা বিভাগ

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ খুলনা বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:56 AM 6:11 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:55 AM 6:12 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:54 AM 6:12 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:53 AM 6:13 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:52 AM 6:13 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:51 AM 6:14 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:50 AM 6:14 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:49 AM 6:14 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:48AM 6:15 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:47 AM 6:15 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:46 AM 6:16 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:45 AM 6:16 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:44 AM 6:16 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:43 AM 6:17 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:42 AM 6:17 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:41 AM 6:18 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:40 AM 6:19 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:38 AM 6:19 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:37 AM 6:19 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:36 AM 6:20 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:35 AM 6:20 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:34 AM 6:21 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:33 AM 6:21 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:32 AM 6:22 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:31 AM 6:22 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:30 AM 6:23 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:29 AM 6:23 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:28 AM 6:24 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:27 AM 6:24 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:26 AM 6:25 PM

সিলেট বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
সিলেট -৯ মিনিট -৪ মিনিট
মৌলভীবাজার -৮ মিনিট -৮ মিনিট
হবিগঞ্জ -৬ মিনিট -৩ মিনিট
সুনামগঞ্জ -৭ মিনিট -২ মিনিট
রমজানের সময়সূচি ২০২৪ সিলেট বিভাগ

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ সিলেট বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:41 AM 6:05 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:40 AM 6:06 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:39 AM 6:06 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:38 AM 6:07 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:37 AM 6:07 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:36 AM 6:08 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:35 AM 6:08 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:34 AM 6:08 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:33 AM 6:09 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:32 AM 6:09 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:31 AM 6:10 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:30 AM 6:10 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:29 AM 6:10 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:28 AM 6:11 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:27 AM 6:11 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:26 AM 6:12 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:25 AM 6:12 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:23 AM 6:13 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:22 AM 6:13 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:21 AM 6:14 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:20 AM 6:14 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:19 AM 6:15 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:18 AM 6:15 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:17 AM 6:16 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:16 AM 6:16 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:15 AM 6:17 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:14 AM 6:17 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:13 AM 6:18 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:12 AM 6:18 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:11 AM 6:19 PM

রংপুর বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
পঞ্চগড় +১ মিনিট +১১ মিনিট
দিনাজপুর +২ মিনিট +১০ মিনিট
লালমনিরহাট -২ মিনিট +১০ মিনিট
নীলফামারী +১ মিনিট +১০ মিনিট
গাইবান্ধা -১ মিনিট +৬ মিনিট
ঠাকুরগাঁও +২ মিনিট +১১ মিনিট
রংপুর -১ মিনিট +৮ মিনিট
কুড়িগ্রাম -২ মিনিট +৭ মিনিট
রমজানের সময়সূচি ২০২৪ রংপুর বিভাগ

 

রমজানের সময়সূচি ২০২৪ রংপুর বিভাগ

রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:49 AM 6:17 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:48 AM 6:18 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:47 AM 6:18 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:46 AM 6:19 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:45 AM 6:19 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:44 AM 6:20 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:43 AM 6:20 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:42 AM 6:20 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:41 AM 6:21 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:40 AM 6:21 PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:39 AM 6:22 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:38 AM 6:22 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:37 AM 6:22 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:36 AM 6:23 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:35 AM 6:23 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:34 AM 6:24 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:33 AM 6:24 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:31 AM 6:25 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:30 AM 6:25 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:29 AM 6:26 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:28 AM 6:26 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:27 AM 6:27 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:26 AM 6:27 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:25 AM 6:28 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:24 AM 6:28 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:23 AM 6:29 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:22 AM 6:29 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:21 AM 6:30 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:20 AM 6:30 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:19 AM 6:30 PM

ময়মনসিংহ বিভাগ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জেলা সেহরি ইফতার
শেরপুর -২ মিনিট +৩ মিনিট
ময়মনসিংহ -২ মিনিট +১ মিনিট
জামালপুর -২ মিনিট +৪ মিনিট
নেত্রকোনা -৫ মিনিট ঢাকার সঙ্গে
রমজান তারিখ বার সাহরি ইফতার
১২ মার্চ মঙলবার 4:48 AM 6:10 PM
১৩ মার্চ বুধবার 4:47 AM 6:11 PM
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:46 AM 6:11 PM
১৫ মার্চ শুক্রবার 4:45 AM 6:12 PM
১৬ মার্চ শনিবার 4:44 AM 6:12 PM
১৭ মার্চ রবিবার 4:43 AM 6:13 PM
১৮ মার্চ সোমবার 4:42 AM 6:13 PM
১৯ মার্চ মঙলবার 4:41 AM 6:13 PM
২০ মার্চ বুধবার 4:40 AM 6:14 PM
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:39 AM 6:14PM
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার 4:38 AM 6:15 PM
১২ ২৩ মার্চ শনিবার 4:37 AM 6:15 PM
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার 4:36 AM 6:15 PM
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার 4:35 AM 6:16 PM
১৫ ২৬ মার্চ মঙলবার 4:34 AM 6:16 PM
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার 4:33 AM 6:17 PM
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার 4:32 AM 6:17 PM
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার 4:30 AM 6:18 PM
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার 4:29 AM 6:18 PM
২০ ৩১ মার্চ রবিবার 4:28 AM 6:19 PM
২১ ১ এপ্রিল সোমবার 4:27 AM 6:19 PM
২২ ২ এপ্রিল মঙলবার 4:26 AM 6:20 PM
২৩ ৩ এপ্রিল বুধবার 4:25 AM 6:20 PM
২৪ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার 4:24 AM 6:21 PM
২৫ ৫ এপ্রিল শুক্রবার 4:23 AM 6:21 PM
২৬ ৬ এপ্রিল শনিবার 4:22 AM 6:22 PM
২৭ ৭ এপ্রিল রবিবার 4:21 AM 6:22 PM
২৮ ৮ এপ্রিল সোমবার 4:20 AM 6:23 PM
২৯ ৯ এপ্রিল মঙলবার 3:19 AM 6:23 PM
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার 3:18 AM 6:24 PM

রোজার নিয়ত

আরবি :

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি  রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা; ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম।

ইফতারের দোয়া

আরবি :

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ছুমতুলাকা ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।’

বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।

রোজা ভাঙার কারণ

১. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।
২. ইচ্ছা করে বমি করা
৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা
৪. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব
৫. ইসলাম ত্যাগ করলে
৬. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে
৭. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে
৮. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।
৯. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে
১০. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে
১১. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে
১২. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে
১৩. মুখ ভরে বমি করলে
১৪. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে
১৫.  কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।
১৬. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।
১৭. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে
১৮. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে
১৯. জোরপূর্বক সহবাস করলে।

তারাবি নামাজের নিয়ত

আরবি :

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতে রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ: আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবিহর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবিহর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার। আরবিতে নিয়ত না পারলেও বাংলায় এভাবে নিয়ত পড়া যাবে। এত নামাজের সওয়াবের কোনো তারতম্য হয় না।

তারাবিহর নামাজ ২ রাকাআত করে পড়তে হয়। এভাবে ২ রাকাত করে ৪ রাকাআত পড়ার পর দোয়া পাঠ করতে হয়। এভাবে ২০ রাকাআত তারাবিহ শেষ করতে হয়।

তারাবিহ নামাজের দোয়া:

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ: ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

বিশ রাকাআত তারাবিহ নামাজ শেষে সবাই সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করে। অনেকে আবার একা একা মুনাজাত করে থাকে। মুনাজাত সমবেত হোক আর একাকি যে কোনো দোয়া দিয়ে তা করা যেতে পারে।

মনের কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত দোয়া রয়েছে। ইচ্ছা করলে এ দোয়াটিও পড়া যায়। আর তাহলো-

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান্নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু ইয়া গাফফার, ইয়া ক্বারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া জাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়াবার। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার। ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।’

রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহাঅনুগ্রহের মাস। অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসের মর্যাদা অনেক বেশি। আর রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হলো বিশ রাকাআত তারাবিহর নামাজ।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত

‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। ‘ অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর। লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই।

লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম

লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনও নামাজের পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে, যত মনোযোগ সহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি দোয়া পড়বেন। ইস্তেগফার পড়বেন। তওবা করবেন।

রোজার ফজিলত

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম রমযনের রোজা গুলো। এজন্য রোযার স্থান হল ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই । রোযার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোযাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।

সুতরাং রমযান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, মুকীম প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্তবয়স্কা নারীর উপর পূর্ণ রমযান রোযা রাখা ফরয। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

(তরজমা) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।-সূরা বাকারা (২) : ১৮৩

 

অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন-

فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

(তরজমা) সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোযা রাখে।- সূরা বাকারা (২) : ১৮৫

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فافطروا، فإن غم عليكم فصوموا ثلاثين،

وفي رواية : صوموا لرؤيته وأفطروا لرويته، فإن عم عليكم فاكملوا العدد.

যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮০ (১৭-১৮)

উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস এবং এ বিষয়ক অন্যান্য দলীলের আলোকে প্রমাণিত যে, রমযান মাসের রোযা রাখা ফরয, ইসলামের আবশ্যক বিধানরূপে রোযা পালন করা ও বিশ্বাস করাও ফরয।

 ==========হাদীস শরীফে বর্ণিত রোযার কিছু ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য এখানে উল্লেখ করা হলো :==================

১. রোযার প্রতিদান আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজেই দিবেন এবং বিনা হিসাবে দিবেন

২. আল্লাহ তাআলা রোযাদারকে কেয়ামতের দিন পানি পান করাবেন

৩. রোযা হল জান্নাত লাভের পথ

৪. রোযাদারগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে ‘রাইয়ান’ নামক বিশেষ দরজা দিয়ে

৫. রোযা জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল ও দুর্গ

৬. রোযা কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে

৭. রোযাদারের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়

৮. রোযা গুনাহের কাফফারা

৯. রোযাদারের মুখের গন্ধ মিশকের চেয়েও সুগন্ধিযুক্ত

১০. রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত

১১. রোযাদার পরকালে সিদ্দীকীন ও শহীদগণের দলভুক্ত থাকবে

১২. রোযাদারের দুআ কবুল হয়

১৩. রোযা হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেয়

১৪. আল্লাহর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম

১৫.  এ মাসের নাম পবিত্র কোরআন মাজিদে উল্লেখ করা হয়েছে। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

১৬.  মহান আল্লাহ এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। | (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

১৭.  আবার এ মাসেই পবিত্র কোরআনুল কারিম নাজিল করা হয়েছে। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

১৮.  এ মাসের ইবাদত বন্দেগির ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের সুসংবাদ দিতেন। রজব ও শাবন মাস জুড়ে রমজানের ইবাদত-বন্দেগির জন্য নিজেকে তৈরি করতেন, দোয়া পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে দোয়া করতে বলতেন।

১৯.  রমজান মাসে রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হয়।

২০.  এ মাসের জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয় এবং শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়।

২১.  রমজানের রাত ও দিনে মুসলমানের দোয়া অনবরত আল্লাহর দরবারে কবুল করা হয়।

২২.  কোরআনের ঘোষণায় এ মাসের রয়েছে বরকতময় লাইলাতুল কদর।

২৩.  এ মাসের প্রতি রাতে ক্ষমা লাভে ফেরেশতারা মানুষকে আহ্বান করতে থাকে।

২৪.  এ পবিত্র মাসেই আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের প্রথম সমর অভিযান বদরে বিজয় দান করেছিলেন।

২৫.  রমজান মাসে উমরা আদায় আল্লাহর রাসুলের সঙ্গে হজ পালনের সাওয়াব পাওয়া যায়।

রোজা না রাখার শাস্তি

রোজা ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ : শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া রোজা ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।

রোজা না রাখার ভয়াবহতা

রমজানে রোজা না রাখার যেসব শাস্তি বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ভয়াবহ দিক হলো :

১. কুফরিসদৃশ কাজ : শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়াই যারা রমজানের রোজা ত্যাগ করে তারা কুফরিসদৃশ কাজ করে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলামের হাতল ও দ্বিনের মূল বিষয় তিনটি; যার ওপর ইসলামের ভিত্তি। যে ব্যক্তি তার একটি ত্যাগ করল, সে এমন অবিশ্বাসীতে পরিণত হলো, যার রক্তপাত বৈধ।

সেগুলো হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই বলে সাক্ষ্য দেওয়া, ফরজ নামাজ ও রমজানের রোজা।’ (মাজমাউল জাওয়াইদ : ১/৪৮)

২. মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সংশয় : ইমাম জাহাবি (রহ.) মুমিনদের কাছে এ কথা প্রমাণিত, যে ব্যক্তি কোনো অসুস্থতা ও শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া রোজা ছেড়ে দেয় সে মদ্যপ ও ব্যভিচারকারীর চেয়েও নিকৃষ্ট; বরং তারা তার ইসলামের ব্যাপারে সন্দেহ করে এবং তাকে জিন্দিক তথা ধর্মদ্রোহী বলে সন্দেহ করে। (আল-কাবায়ির, পৃষ্ঠা ৬৪)

৩. জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তি : আবু উমামা বাহিলি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় দুজন মানুষ এসে আমার দুই বাহু ধরে আমাকে দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেল। সেখানে নিয়ে তারা আমাকে বলল, পাহাড়ে উঠুন। আমি বললাম, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তারা বলল, আমরা আপনার জন্য সহজ করে দিচ্ছি। তাদের আশ্বাস পেয়ে আমি উঠতে লাগলাম এবং পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত গেলাম। সেখানে প্রচণ্ড চিৎকারে শব্দ শোনা যাচ্ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিসের শব্দ? তারা বলল, এটা জাহান্নামিদের চিৎকার। এরপর তারা আমাকে এমন কিছু লোকের কাছে নিয়ে গেল যাদের পায়ের টাকনুতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের গাল ছিন্নভিন্ন এবং তা থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? তারা বলল, এরা হচ্ছে এমন রোজাদার যারা রোজা পূর্ণ করার আগে ইফতার করত।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৭৪৯১)

রোজা ভাঙার প্রতিবিধান : প্রকৃতপক্ষে ফরজ আমল সময়মতো পালন না করার কোনো পরিপূর্ণ প্রতিবিধান নেই। কেননা ব্যক্তি সময়মতো ইবাদত না করলে যে ফজিলত ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয় তা কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। হাদিসে এমনটিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ও রোগ ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলল, তার সারা জীবনের রোজা দ্বারাও এ কাজা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন রোজা পালন করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

রোজা রাখার পুরস্কার : বিপরীতে কোনো ব্যক্তি যদি নিষ্ঠার সঙ্গে রোজা পালন করে, তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘোষণা হলো, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে রমজানের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী পাপ ক্ষমা করা হয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

 

রোজা নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রশ্নঃ (৩৯৫)যে ব্যক্তি কষ্টকর কঠিন কাজ করার কারণে রোযা রাখতে অসুবিধা অনুভব করে তার কি রোযা ভঙ্গ করা জায়েয?

উত্তরঃ আমি যেটা মনে করি, কাজ করার কারণে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয নয়, হারাম। রোযা রেখে কাজ করা যদি সম্ভব না হয়, তবে রামাযান মাসে ছুটি নিবে, অথবা কাজ কমিয়ে দিবে, যাতে করে রামাযানের ছিয়াম পালন করা সম্ভব হয়। কেননা রামাযানের ছিয়াম ইসলামের অন্যতম একটি রুকন। যার মধ্যে শিথীলতা করা জায়েয নয়।

প্রশ্নঃ (৩৯৬)জনৈক বালিকা ছোট বয়সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। সে অজ্ঞতা বশতঃ ঋতুর দিনগুলোতে রোযা পালন করেছে। এখন তার করণীয় কি?

উত্তরঃ তার উপর আবশ্যক হচ্ছে, ঋতু অবস্থায় যে কয়দিনের ছিয়াম আদায় করেছে সেগুলোর কাযা আদায় করা। কেননা ঋতু অবস্থায় ছিয়াম পালন করলে বিশুদ্ধ হবে না এবং গ্রহণীয় হবে না। যদিও তা অজ্ঞতা বশতঃ হয়ে থাকে। তাছাড়া পরবর্তীতে যে কোন সময় তা কাযা করা সম্ভব। কাযা আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।

এর বিপরীত আরেকটি মাসআলা হচ্ছে, অল্প বয়সে জনৈক বালিকা ঋতুবতী হয়ে গেছে। কিন্তু লজ্জার কারণে বিষয়টি কারো সামনে প্রকাশ করেনি এবং তার ছিয়ামও পালন করেনি। এর উপর ওয়াজিব হচ্ছে, উক্ত মাসের ছিয়াম কাযা আদায় করা। কেননা নারী ঋতুবতী হয়ে গেলেই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায় এবং শরীয়তের যাবতীয় বিধি-বিধান পালন করা তার উপর ফরয হয়ে যায়।

প্রশ্ন: স্ত্রীকে যৌন উত্তেজনার সাথে স্পর্শ বা আলিঙ্গন করার সময় যদি লজ্জা স্থান থেকে পানি জাতীয় পদার্থ বের হয় তাহলে কি নামাজ-রোজা হবে?
উত্তর:
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে যৌন উত্তেজনার সাথে স্পর্শ বা আলিঙ্গন করার সময় যদি লজ্জা স্থান থেকে মনি/বীর্য (যৌন উত্তেজনা বশত: সুখানুভূতি সহকারে সবেগে স্খলিত ধাতু) নির্গত হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে।
আর গোসল ফরজ হলে গোসল করা ছাড়া সালাত পড়া বৈধ নয়। পড়লেও কবুল হবে না।
রোজা অবস্থায় এমন হলে (বীর্যপাত হলে) রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট তওবা করত: পরবর্তীতে উক্ত রোজাটি কাজা করাই যথেষ্ট।

কিন্তু যৌন চিন্তা বা যৌন উত্তেজনা বশত: মযি/কামরস (হালকা আঠালো ও পিচ্ছিল পানি জাতীয় ধাতু) নির্গত হলে তাতে গোসল ফরজ হবে না এবং এতে রোজাও ভঙ্গ হবে না। তবে ওজু অবস্থায় নির্গত হলে ওজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
এটি নাপাক। সুতরাং ওযুর পূর্বে লজ্জা স্থান ধৌত করা আবশ্যক। আর কাপড়ে লাগলে যে স্থানে তা লেগেছে সে স্থান ধৌত করতে হবে কিংবা কাপড় পরিবর্তন করে অত:পর সালাত আদায় করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে-বীর্যপাত হোক না হোক-তাতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রমাযানের দিনের বেলা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়া কবিরা গুনাহ। কেউ এমনটি করলে তার জন্য আল্লাহর নিকট লজ্জিত অন্তরে তওবা করার পাশাপাশি কাফফারা দেয়া ওয়াজিব। তা হল:
● একটি রোজার বিনিময়ে একটি দাস মুক্ত করা।
● তা সম্ভব না হলে একটানা (বিরতি হীনভাবে) ৬০টি রোজা রাখা।
● তাও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিনকে একবেলা খাবার খাওয়ানো বা প্রতিটি রোজার বিনিময়ে অর্ধ সা তথা সোয় বা দেড় কিলো চাল দেয়া। (টাকা দেয়া ঠিক নয়)।

প্রশ্নঃ (৪১২) রোযা অবস্থায় মেসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহার করার বিধান কি?

উত্তরঃবিশুদ্ধ কথা হচ্ছে দিনের প্রথম ভাগে যেমন শেষ ভাগেও তেমন মেসওয়াক করা সুন্নাত।

প্রশ্ন: গতকাল হায়েজ বন্ধ হয়েছে কিন্তু এখনো গোসল করা হয় নি। এমন অবস্থায় আজ কি রোজা রাখা যাবে?
উত্তর:
হায়েজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে ওই ওয়াক্তের সালাত পড়া ফরজ। এমনকি এক রাকআত সালাতের সময় থাকলেও তা পড়তে হবে এবং সে দিন ভোর রাত থেকে রোজা রাখাও ফরজ।
সুতরাং কোন মহিলা যদি হায়েজ বন্ধ হওয়ার পর পরের দিন পর্যন্ত গোসল না করে থাকে এবং নামায না পড়ে থাকে তাহলে সে কবিরা গুনাহগার হবে। এ ক্ষেত্রে তার জন্য আবশ্যক হল,
● আল্লাহর নিকট তওবা করা এবং গোসল করে সালাতের সময় হলে সালাত শুরু করা।
● ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর থেকে যে কয় ওয়াক্তের সালাত পড়া হয় নি সেগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজা করা।
● ভোর রাতে সেহরি খেয়ে আজকের রোজা রাখা।

প্রশ্ন: বমি করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে?

উত্তর: কোন লোক যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হলে রোজা ভঙ্গ হবেনা। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَمَنِ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ
“অনিচ্ছাকৃত যার বমি হবে তার কোন কাজা নেই আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করবে সে যেন রোজা কাজা করে। ” (সহিহ আবু দাউদ, হা/২৩৮০)
কিন্তু যদি অপারগ অবস্থায় বমি বের হয়েই যায় তবে রোজা ভঙ্গ হবে না। মানুষ যদি পেটের মধ্যে খিচুনি অনুভব করে- মনে হয় যেন ভিতর থেকে সব কিছু বের হয়ে আসবে, তখন তাতে বাধা দিবে না। সাধারণভাবে থাকার চেষ্টা করবে। ইচ্ছা করে কোন কিছু বের করার চেষ্টা করবে না। নিজে নিজে বের হয়ে আসলে কোন ক্ষতি হবেনা এবং রোযাও নষ্ট হবে না।
(ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম-উসাইমীন রহ.)

প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে স্প্রে (Nabulijer) ব্যবহার করার বিধান কি? এ দ্বারা কি রোজা ভঙ্গ হবে?

উত্তর: এই স্প্রে নাকে প্রবেশ করে কিন্তু পেট পর্যন্ত পৌঁছে না। তাই রোজা রেখে ইহা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। এতে রোজা ভঙ্গও হবে না। কেননা এটা এমন বস্তু যা উড়ে নাকে প্রবেশ করে এবং বিলীন হয়ে যায়। এর অংশ বিশেষ পাকস্থালীতে মধ্যে প্রবেশ করে না। তাই এ দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম-উসাইমীন রহ. প্রশ্ন নং ৪১৪)

প্রশ্ন: যেকোনো খেলাধুলা করে সিয়াম পালন করলে সিয়াম পালন হবে কি? বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা করে?
উত্তর:
রোজা রাখার পরে রোজা ভঙ্গের কোনও কারণ না ঘটলে কোন সমস্যা নেই। খেলাধুলা করতে গিয়ে কেউ যদি পিপাসায় পানি পান করে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন কিছু খায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে; অন্যথায় নয়।
তবে মনে রাখতে হবে, রমাযানের প্রতিটি মূহুর্ত আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ মর্যাদাপূর্ণ সময়গুলোকে কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, দুআ-তসবিহ ও বিভিন্ন সৎকর্ম সম্পাদনের মাধ্যম নেকি অর্জন ও কল্যাণকর কাজে ব্যয় করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা জরুরি এবং খেলাধুলায় অতিরিক্ত সময় ব্যায়, নাটক-সিনেমা দেখা বা অন্যান্য অর্থহীন কাজে যেন সময়গুলো অতিবাহিত না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখা কর্তব্য। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।

প্রশ্ন: আমি অসুস্থ। রোজা রেখে কি মেডিসিন নেয়া যাবে? আমাকে দিন-রাতে ৯ বার ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু রোজার সময়ও কি ওষুধ খেতে পারি?
উত্তর:
লা বা’স ত্বাহুর ইনশাআল্লাহ-আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।

অত:পর কথা হল, রোজা অবস্থায় ওষুধ সেবন করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যদি ডাক্তার পরামর্শ দেয় যে, দিনরাতে কিছুক্ষণ পরপর ওষুধ খেতে হবে, অন্যথায় রোগ বৃদ্ধি পাবে বা আরগ্য বিলম্বিত হবে তাহলে আপনার জন্য এখন রোজা রাখা আবশ্যক নয়। বরং রোজা না রেখে ডাক্তারি নির্দেশনা মেতাবেক আপনি প্রয়োজন মত ওষুধ সেবন করবেন।
তবে পরে সুস্থ হলে রমাযানের পরের ছুটে যাওয়া রোজাগুলো আপনার সুবিধা জনক সময়ে কাজা করে নিবেন। (সূরা বাকারা: ১৮৪)

প্রশ্নঃ (৪১৫) বমি করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে?

উত্তরঃ কোন লোক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে রোযা ভঙ্গ হবেনা।

প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় ব্যথার কারণে মাথায় বাম বা তৈল লাগানো যাবে কি?
উত্তর: জি, সমস্যা নেই। এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।

প্রশ্ন: সিয়ামরত অবস্থায় নখ-চুল বা শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে কি?

উত্তর: নখ কাটা, মাথার চুল ছাটা বা মুণ্ডন করা, মোচ খাটো করা, বগলের পশম তোলা, নাভির নিচের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা ইত্যাদির সাথে রোজার কোন সম্পর্ক নাই। সুতরাং রোজা অবস্থায় এগুলো করলে রোজার উপর কোন প্রভাব পড়বে না।

প্রশ্ন: রোজা রেখে হারাম ভিডিও গেইম খেললে কি রোজা কি কবুল হবে?

উত্তর: এতে রোজা ভঙ্গ না হলেও সময় অপচয় ও হারাম কাজ করার কারণে তার সওয়াব কমে যাবে।
তাই রোজা অবস্থায় হারাম ভিডিও গেইম খেলা, গান-বাদ্য শোনা, নাটক-সিনেমা ইত্যাদি দেখা, খেলাধুলায় অতিরিক্ত সময় অপচয় করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। এমনকি ইফতার করার পর এগুলো বৈধ হয়ে যাবে না বরং সর্বাবস্থায় এগুলো হারাম।

রোজা অবস্থায় কান, চোখ ও নাকে ড্রপ ব্যাবহারের বিধান কি?

উত্তর:
নাক, কান ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে কি না এ বিষয়ে আলেমদের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। তবে অধিক বিশুদ্ধ মতে এতে রোজা ভঙ্গ হবে না যদি গলায় ওষুধের সাধ পেলে তা গিলে না খায়। আর গিলে খেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাই সতর্কতা হিসেবে যদি সম্ভব হয় তাহলে এগুলো দিনে ব্যবহার না করে রাতে ব্যবহার করা ভালো। এটাই ইসলমি ফিকহ একাডেমী এর সিদ্ধান্ত।
جاء في قرار ” مجمع الفقه الإسلامي
” الأمور الآتية لا تعتبر من المفطرات : قطرة العين ، أو قطرة الأذن ، أو غسول الأذن ، أو قطرة الأنف ، أو بخاخ الأنف ، إذا اجتنب ابتلاع ما نفذ إلى الحلق ” انتهى
তবে নাকের ছিদ্র দিয়ে ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা কাম্য। কেননা নাকের ছিদ্র দিয়ে পানি পাকস্থালীতে পৌঁছার সম্ভাবনা বেশি। তাই তো হাদিসে রোজা অবস্থায় অজু বা গোসল করার সময় নাকের ভেতরে বেশি করে পানি টেনে নাক ঝাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এতে নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে পাকস্থলীতে পানি পৌঁছে যেতে পারে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا»
“(অজু ও গোসলে) নাকে পানি টেনে ভালোভাবে নাক ঝেড়ে পরিষ্কার করো যদি রোজা অবস্থায় না থাকো।” (সহিহ আবু দাউদ-আলবানী, হা/১৪২০)

প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় যদি মুখ থেকে রক্ত বের হয় তাহলে রোজার কোনও সমস্যা হবে কি?

উত্তর: মুখ, নাক বা শরীরের কাটা বা ক্ষতস্থান থেকে রক্ত নির্গত হওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে মুখ থেকে নির্গত রক্ত যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে গিলে ফেলা হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অবশ্য অসতর্কতা বশত: থুথুর সাথে তা গিলে ফেললে রোজার কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন

You cannot copy content of this page