গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

Spread the love

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয় সে সকল সমস্যা হলো ডায়রিয়া, বমি ও পেটে ব্যথা, জ্বর, শক্তির অভাব এবং পানিশূন্যতা, গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেঁকুর। এই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্যাস্ট্রিক সম্পূর্কে আলোচনা করা। আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।

গ্যাস্ট্রিক কি

সহজভাবে বলতে গেলে, পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস— এই তিনটির যেকোনো জায়গায় যদি অ্যাসিডের কারণে ক্ষত হয় তাকে গ্যাস্ট্রিক বলে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক, যা সংক্রামক ডায়রিয়া নামেও পরিচিত, এটি “গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট” এর একটি প্রদাহ যা পেট এবং ছোট অন্ত্রকে জড়িত করে। গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে ডায়রিয়া, বমি এবং পেটে ব্যথা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এমনকি জ্বর, শক্তির অভাব এবং পানিশূন্যতা হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

গ্যাস্ট্রিক কি কেন হয়

আমরা এতমধ্যে জেনেছি যে, পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস এই সকল স্থানে অ্যাসিডের কারণে ক্ষত হলে গ্যাস্ট্রিক হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, খালি পেটে কিংবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয়। গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেঁকুর ওঠে।

গ্যাস্ট্রিক কেন হয়

আপনার হজম শক্তি কমে গেলে, আপনি যদি অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। এছাড়া আমরা অনেকেই বাইরে থেকে ভাজাপোড়া খাবার কিনে খাই এতেও আপনার গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক কিভাবে হয়

আপনি সঠিক সময়ে খাবার না খেলেও আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। যেমন, আপনি সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে খান এটিও গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান কারন।

গ্যাস্ট্রিক কত প্রকার

গ্যাস্ট্রিক কত প্রকার এ প্রশ্নের উওরে আপনি অনেক ভাবে গ্যাস্ট্রিকে আক্রন্ত হতে পারেন। যেমন-  ডায়রিয়া, বমি ও পেটে ব্যথা, জ্বর, শক্তির অভাব এবং পানিশূন্যতা, গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেঁকুর।

গ্যাস্ট্রিকের লক্ষন

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ও বুকে ব্যথার লক্ষনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষন হলো আপনার যখন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হবে তখন খেয়াল করবেন যে, পেটের মাঝখানে চিনচিন করে ব্যথা করছে। এছাড়াও বুক ও পেটে চাপ অনুভূত হচ্ছে। এ সকল লক্ষন দেখা দিলে বুঝবেন এটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষন।

গ্যাস্ট্রিক আলসার কি

গ্যাস্ট্রিক আলসার হলো পাকস্থীতে মারাত্মক ক্ষত কে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার। তাহলে, গ্যাস্ট্রিক আলসার কি তা সহজভাবে বলতে গেলে গ্যাস্ট্রিক এর কারনে খাদ্যনালী, পেট বা ছোট অন্ত্রের আস্তরণের উপর ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক এর আলসার। মারাত্মক গ্যাস্ট্রকের কারনে আলসার বা ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।

আলসার এর লক্ষনঃ বুকজ্বালা, পেটের উপরের দিকে যন্ত্রণা, খাওয়ার পরে পেট ফুলে থাকা বা পেট ফেঁপে থাকা, মুখ দিয়ে নুন জল ওঠা, গা বমি ইত্যাদি।

আলসার এর সাধারন ১০ টি লক্ষন হলোঃ

  1.  পেটের উপরিভাগে ব্যথা হওয়া
  2. বমি ভাব হওয়া
  3.  বমি হওয়া
  4. বাথরুম ব্যবহারের সময় রক্তপাত হওয়া
  5.  অধিকাংশ খাবার খেলে বুকজ্বালা করা
  6.  পেট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফাঁপা
  7.  খাবার ইচ্ছা কমে যাওয়া
  8.  অস্বাভাবিক ক্ষুধা লাগে
  9.  পিঠ প্রচন্ড ব্যথা করা
  10. বেশি ঢেকুর ওঠা
গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা
গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা

গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা

আপনি জানেন যে সাধারনত এসিডিটি এর কারনে গ্যাস্ট্রিক হয়। তাহলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হবে যে খাবার খেলে আমাদের এসিডিটি কম সেসকল খাবার বেশি খাওয়া। এবং যেসকল খাবার খেলে এসিডিটি বেশি হয় সেসকল খাবার কম খাওয়া।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি খাবেন তা হলো– গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে তার তালিকা হলো চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ, মিষ্টি, দুধ, কফি, টক, খুব ঠান্ডা/গরম খাবারে সমস্যা বাড়তে পারে।

গ্যাস্ট্রিক কি খাবার উচিত

গ্যাস্ট্রিক কি খেলে কমে সে সকল খাবার হলো আদা, লং, তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, জিরা, গুড়, টক দই, বীট লবণ, দুধও এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে, দুধ এবং মাখন এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় কি তা হলো আপনি জানেন যে, সাধারনত এসিডিটি এর কারনে গ্যাস্ট্রিক হয়। তাহলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হবে যে খাবার খেলে আমাদের এসিডিটি কম সেসকল খাবার বেশি খাওয়া। তেল ও ভাজা পোড়া কম খাওয়া এবং পানি বেশি খাওয়া।

আরো পড়ুনঃ

১০টি বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি হাসপাতাল

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি হাসপাতাল ২০২২

 

গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়ার উপায় জানব এখন আমরা। কিভাবে আপনি নিজেই আপনার গ্যাস্ট্রিক নিজেই ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমাবেন তা জানতে পারবেন।

গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায় হলো এসিডিটি কম সে সকল খাবার বেশি খাওয়া। সে সকল খাবারের তালিকা হলো আদা, লং, তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, জিরা, গুড়, টক দই, বীট লবণ, দুধও এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে, দুধ এবং মাখন এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও বেশি বেশি পানি পান করা ও লেবুপানি বা লেবু চা পান করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।  আপনি জদি নিয়োম মেনে খাবার খান তাহলে গ্যাস্ট্রিক কিভাবে ভালো হয় তা আপনি নিজেই জানতে পারবেন। এচাড়াও আপনি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি করতে পারবেন।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This content is protected! By banglanewsbdhub

Scroll to Top