ইতালি ভিসা খরচ 2024, সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসার বিভিন্ন খরচ

ইতালি ভিসা খরচ 2024 এ কত হতে পারে? আজ আমি আছি হারুন, আজকে আমরা আলোচনা করব সিজনাল ভিসার খরচ, নন-সিজনাল ভিসার খরচ, ইতালি স্পন্সর ভিসা; ইতালি কৃষি ভিসা; স্টুডেন্ট ভিসা; মেডিকেল ভিসা; টুরিস্ট ভিসা; বিজনেস ভিসা; ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা।, ইতালিতে ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,

ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হয়, ভিসার খরচ, বিমান ভ্রমণের খরচ হোটেল খরচ, খাবারের খরচ,পরিবহন খরচ,

ইতালি ইউরোপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইতালি ভ্রমণ করে। ইতালিতে প্রবেশের জন্য, বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা প্রয়োজন। ইতালি ভিসার খরচ ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে।

ইতালি ভিসা খরচ 2024

ভিসার ধরণ আবেদন ফি
সিজনাল ভিসা ৬০ ইউরো (প্রায় ৭০০০টাকা)
নন-সিজনাল ভিসা  ১২০ ইউরো (প্রায় ১৪,০০০ টাকা)
২০২৩ সালে ইতালি জেতে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৩,৫০,০০০ টাকা

 

ইতালি ভিসার খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরণের উপর। ইতালি দুটি ধরণের ভিসা প্রদান করে:

  • সিজনাল ভিসা: এই ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত। এটি সাধারণত পর্যটন, চিকিৎসা বা পারিবারিক পরিদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ৬০ ইউরো (প্রায় ৭,000 টাকা)।
  • নন-সিজনাল ভিসা: এই ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি। এটি সাধারণত কাজ, পড়াশোনা বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ১২০ ইউরো (প্রায় ১৪,০০০ টাকা)।

সিজনাল ভিসার খরচ

সিজনাল ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত। এটি সাধারণত পর্যটন, চিকিৎসা বা পারিবারিক পরিদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ৬০ ইউরো (প্রায় ৭,০০০ টাকা)।

নন-সিজনাল ভিসার খরচ

নন-সিজনাল ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি। এটি সাধারণত কাজ, পড়াশোনা বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ১২০ ইউরো (প্রায় ১৪,০০০ টাকা)।

এছাড়া অন্যান্য ভিষাগুলো হল:

  • ইতালি স্পন্সর ভিসা;
  • ইতালি কৃষি ভিসা;
  • স্টুডেন্ট ভিসা;
  • মেডিকেল ভিসা;
  • টুরিস্ট ভিসা;
  • বিজনেস ভিসা;
  • ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা।

ইতালি স্পন্সর ভিসা

ইতালি স্পন্সর ভিসা হলো ইতালিতে বসবাস ও কাজ করার জন্য একটি ভিসা যা ইতালির একজন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা স্পন্সর করে। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে বসবাস ও কাজ করার জন্য যথেষ্ট অর্থ প্রমাণ করতে হবে।

ইতালি কৃষি ভিসা

ইতালি কৃষি ভিসা হলো ইতালিতে কৃষিক্ষেত্রে কাজ করার জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে একটি কৃষি কাজে নিযুক্ত হতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা হলো ইতালিতে পড়াশোনার জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালির একটি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী আবেদন করে থাকে। ইতালিতে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে এবং এখানে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ রয়েছে যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের কোর্স অফার করে।

ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয়তা

ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে হবে:

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট যা ইতালিতে থাকার জন্য যথেষ্ট মেয়াদ সহ
  • একটি ভিসা আবেদন ফর্ম যা সাবধানে পূরণ করা হয়েছে এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষর রয়েছে
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুবাদ, যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, জন্ম সার্টিফিকেট এবং মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল
  • একটি টিউশন ফি প্রদানের প্রমাণ
  • ইতালিতে বসবাসের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ প্রমাণ

ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াঃ ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের অবশ্যই ইতালির দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় নেয়।

ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার খরচঃ ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি €140। এছাড়াও, আবেদনকারীদের অবশ্যই ভিসার মেয়াদকালের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রমাণ প্রদান করতে হবে। সাধারণত, আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে €800 থেকে €1000 রাখতে হবে।

মেডিকেল ভিসা

ইতালি মেডিকেল ভিসা হলো ইতালিতে চিকিৎসার জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার জন্য নিবন্ধিত হতে হবে।

টুরিস্ট ভিসা

ইতালি টুরিস্ট ভিসা হলো ইতালিতে পর্যটন করার জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।

ইতালির ভিসার মূল্য সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। সিজনাল ভিসা হলো ছুটির মৌসুমে ইতালিতে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা। নন সিজনাল ভিসা হলো ছুটির মৌসুমের বাইরে ইতালিতে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা।

ইতালির সিজনাল ভিসার মূল্যঃ ইতালির সিজনাল ভিসার মূল্য সাধারণত তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। এই মূল্যের মধ্যে ভিসা ফি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুবাদ, মেডিকেল পরীক্ষা এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইতালির নন সিজনাল ভিসার মূল্যঃ ইতালির নন সিজনাল ভিসার মূল্য সাধারণত দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা। এই মূল্যের মধ্যে ভিসা ফি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুবাদ, মেডিকেল পরীক্ষা এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিজনেস ভিসা

ইতালি বিজনেস ভিসা হলো ইতালিতে ব্যবসার কাজে যাওয়ার জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে একটি ব্যবসায়িক কাজে নিযুক্ত হতে হবে।

ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা

ইতালি ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা হলো ইতালিতে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের সাথে পুনর্মিলনের জন্য একটি ভিসা। এই ভিসায় আবেদনকারীকে ইতালিতে বসবাসরত একজন পরিবারের সদস্যের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রমাণ করতে হবে।

উপরের ভিসাগুলি ইতালিতে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের উদ্দেশ্য অনুসারে সঠিক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার আগে, আবেদনকারীদের অবশ্যই ইতালির দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করে সর্বশেষ প্রয়োজনীয়তাগুলি যাচাই করা উচিত।

অতিরিক্ত তথ্য

ইতালি ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে হবে:

  • সক্রিয় পাসপোর্ট: আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ ইতালিতে থাকার জন্য যথেষ্ট হতে হবে।
  • ভিসা আবেদন ফর্ম: আবেদন ফর্মটি সাবধানে পূরণ করতে হবে এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনকারীদের উপরে উল্লিখিত সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
  • ভিসার ফি: ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় নেয়। আবেদনকারীদের অবশ্যই ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার পরে ইতালির দূতাবাস বা কনস্যুলেটের কাছ থেকে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে হবে।

এছাড়াও, ইতালিতে প্রবেশের  জন্য আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের টিকিট, হোটেল বুকিং, চিকিৎসা বীমা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচও যোগ করতে হবে।

ইতালিতে ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইতালি ভিসা পেতে আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

ইতালিতে ভিসা আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

  • একটি সম্পূর্ণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম
  • পাসপোর্টের একটি কপি
  • একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • একটি ভিসা ফি
  • একটি আর্থিক নিশ্চয়তা
  • একটি স্বাস্থ্য বীমা
  • একটি আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য) এছাড়াও
  • মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্টের ২ সেট ফটোকপি: আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  • 4*3.5 সে.মি. সাইজে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে দুটি সাম্প্রতিক ছবি: ছবিগুলি অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে এবং আবেদনকারীর সম্প্রতি তোলা হতে হবে।
  • ইতালি ভিসা আবেদন ফরম (আবেদনকারীর স্বাক্ষরিত): আবেদন ফর্মটি সাবধানে পূরণ করতে হবে এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র: আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি কপি জমা দিতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য হলে): যদি আবেদনকারীর কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তবে তার একটি কপি জমা দিতে হবে।
  • কাজের ভিসা পেতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া ওয়ার্ক পারমিট (প্রযোজ্য হলে): যদি আবেদনকারী কাজের জন্য ভিসা পাচ্ছেন তবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি ওয়ার্ক পারমিটের একটি কপি জমা দিতে হবে।
  • নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য (প্রযোজ্য হলে): যদি আবেদনকারী কাজের জন্য ভিসা পাচ্ছেন তবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য, যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা জমা দিতে হবে।

ইতালি ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত কাগজপত্র

ইতালি ভিসা প্রসেসিংয়ের পর, আবেদনকারীদের ইতালি ভ্রমণের জন্য নিম্নলিখিত অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: আবেদনকারীর স্থানীয় পুলিশ থানা থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
  • করোনা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট: আবেদনকারীকে COVID-19 এর বিরুদ্ধে পুরোপুরি টিকা দেওয়া থাকতে হবে।
  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন: যদি আবেদনকারী বাংলাদেশে কাজ করার জন্য ইতালি যাচ্ছেন তবে তাকে বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) কাছে নিবন্ধন করতে হবে।
  • ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে আসার স্বাক্ষরিত সনদ: আবেদনকারীকে একটি স্বাক্ষরিত সনদ জমা দিতে হবে যাতে বলা হবে যে তিনি ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে আসবেন।

ইতালি ভিসা পেতে আবেদনকারীদের উপরে উল্লিখিত সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কাগজপত্রগুলি সাবধানে পূরণ এবং সংগৃহীত করা গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা আবেদন করার আগে ইতালির দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করে সর্বশেষ প্রয়োজনীয়তাগুলি যাচাই করা উচিত।

ইতালি ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি সাধারণত ১০-১৫ দিন সময় নেয়।

ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হয়

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হয় তা নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ভিসার খরচ
  • বিমান ভ্রমণের খরচ
  • হোটেল খরচ
  • খাবারের খরচ
  • পরিবহন খরচ
  • অন্যান্য খরচ (যেমন, কেনাকাটা, বিনোদন ইত্যাদি)

ভিসার খরচঃ

সিজনাল ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত। এটি সাধারণত পর্যটন, চিকিৎসা বা পারিবারিক পরিদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ৬০ ইউরো (প্রায় ৭,০০০ টাকা)।

নন-সিজনাল ভিসার খরচ: নন-সিজনাল ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি। এটি সাধারণত কাজ, পড়াশোনা বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি ১২০ ইউরো (প্রায় ১৪,০০০ টাকা)।

বিমান ভ্রমণের খরচঃ ইতালি ইউরোপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইতালি ভ্রমণ করে। ইতালিতে প্রবেশের জন্য, বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা প্রয়োজন। ভিসার খরচ ছাড়াও, ইতালিতে প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের টিকিট, হোটেল বুকিং, চিকিৎসা বীমা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচও যোগ করতে হবে।

ইতালি জেতে বিমান ভ্রমণের খরচের তালিকা

এয়ারলাইন্স উড়ানের সময় উড়ানের ভাড়া
বাংলাদেশ বিমান প্রায় 12 ঘন্টা প্রায় 60,000 টাকা থেকে 1,00,000 টাকা
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রায় 12 ঘন্টা প্রায় 60,000 টাকা থেকে 1,00,000 টাকা
তুর্কিশ এয়ারলাইন্স প্রায় 14 ঘন্টা প্রায় 80,000 টাকা থেকে 1,20,000 টাকা
ইতালি এয়ারলাইন্স প্রায় 14 ঘন্টা প্রায় 1,00,000 টাকা থেকে 1,50,000 টাকা
কাতার এয়ারওয়েজ প্রায় 15 ঘন্টা প্রায় 1,20,000 টাকা থেকে 1,60,000 টাকা

 

হোটেল খরচঃ

ইতালি ইউরোপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন এর দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইতালি ভ্রমণ করে। ইতালি ভ্রমণের জন্য, হোটেল বুকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে, যেমন:

  • বুটিক হোটেল: এই হোটেলগুলি সাধারণত ছোট এবং ব্যক্তিগত, এবং তারা প্রায়ই একটি অনন্য বা শৈল্পিক পরিবেশ প্রদান করে। বুটিক হোটেলের খরচ প্রতি রাতে 100 থেকে 200 ইউরো হতে পারে।
  • মিড-রেঞ্জ হোটেল: এই হোটেলগুলি সাধারণত আরও বড় এবং আরামদায়ক, এবং তারা প্রায়ই একটি সুইমিং পুল, জিম বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। মিড-রেঞ্জ হোটেলের খরচ প্রতি রাতে 200 থেকে 300 ইউরো হতে পারে।
  • লাক্সারি হোটেল: এই হোটেলগুলি সাধারণত বিলাসবহুল এবং পরিষেবাগুলিতে উচ্চ মানের। লাক্সারি হোটেলের খরচ প্রতি রাতে 300 ইউরো বা তার বেশি হতে পারে।

ইতালির কিছু জনপ্রিয় হোটেলের তালিকা:

হোটেল শহর খরচ
Hotel Hassler রোম 1,000 ইউরো থেকে শুরু
Hotel Cipriani ভেনিস 500 ইউরো থেকে শুরু
Hotel Eden মিলান 300 ইউরো থেকে শুরু
Hotel Gallia ফ্লোরেন্স 200 ইউরো থেকে শুরু
Hotel Santa Lucia নেপলস 100 ইউরো থেকে শুরু

ইতালিতে হোটেল বুক করার টিপস:

  • অনলাইনে হোটেল বুক করুন। অনলাইনে হোটেল বুক করা সাধারণত এজেন্সির মাধ্যমে বুক করার চেয়ে সস্তা।
  • হোটেল বুক করার আগে বিভিন্ন হোটেল এবং তারিখের দাম তুলনা করুন। হোটেল ভাড়া প্রায়ই পরিবর্তিত হয়, তাই লভ্যাংশের কার্ড ব্যবহার করুন।
  • হোটেল বুক করার সময় একটি রিটার্ন পলিসি চেক করুন। যদি আপনি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাতিল করতে চান তবে এটি আপনাকে অর্থ বাঁচাতে পারে।

ইতালিতে হোটেল ভাড়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু বিষয়:

  • হোটেলের অবস্থান: শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হোটেলের খরচ সাধারণত শহরের বাইরে অবস্থিত হোটেলের চেয়ে বেশি।
  • হোটেলের শ্রেণি: বুটিক হোটেলের খরচ সাধারণত মিড-রেঞ্জ হোটেলের চেয়ে বেশি।
  • হোটেলের সুযোগ-সুবিধা: সুইমিং পুল, জিম বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলির সাথে হোটেলের খরচ সাধারণত অন্যান্য হোটেলের চেয়ে বেশি।
  • হোটেলের বুকিং সময়: ছুটির মৌসুমে হোটেলের খরচ সাধারণত অন্যান্য সময়ে হোটেলের চেয়ে বেশি।

এই তালিকাটি শুধুমাত্র একটি নির্দেশিকা। প্রকৃত হোটেল ভাড়া বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

খাবারের খরচঃ

ইতালি তার সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। ইতালিয়ান খাবার সাধারণত প্রস্তুত করা সহজ এবং তাজা উপাদান দিয়ে তৈরি। ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে, যেমন:

  • পিৎজা: পিৎজা ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। একটি সাধারণ পিৎজা 10 থেকে 15 ইউরো খরচ করে।
  • পাস্তা: পাস্তা ইতালির আরেকটি জনপ্রিয় খাবার। একটি সাধারণ পাস্তা প্লেট 10 থেকে 15 ইউরো খরচ করে।
  • রিসটো: রিসটো হল চাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। একটি সাধারণ রিসটো প্লেট 10 থেকে 15 ইউরো খরচ করে।
  • সালাদ: সালাদ ইতালিয়ান খাবারের একটি সাধারণ উপাদান। একটি সাধারণ সালাদ 5 থেকে 10 ইউরো খরচ করে।
  • মাংস: ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের মাংস খাবার পাওয়া যায়। একটি সাধারণ মাংসের প্লেট 15 থেকে 20 ইউরো খরচ করে।
  • মাছ: ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের মাছের খাবার পাওয়া যায়। একটি সাধারণ মাছের প্লেট 15 থেকে 20 ইউরো খরচ করে।
  • ডেজার্ট: ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাবার পাওয়া যায়। একটি সাধারণ ডেজার্ট 5 থেকে 10 ইউরো খরচ করে।

ইতালির কিছু জনপ্রিয় খাবারের দাম:

খাবার খরচ
পিৎজা ১০-১৫ ইউরো
পাস্তা ১০-১৫ ইউরো
রিসটো ১০-১৫ ইউরো
সালাদ ৫-১০ ইউরো
মাংস ১৫-২০ ইউরো
মাছ ১৫-২০ ইউরো
ডেজার্ট ৫-১০ ইউরো

ইতালিতে খাবারের খরচের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু বিষয়:

  • খাবারের ধরন: পিৎজা এবং পাস্তার মতো সাধারণ খাবারগুলি সাধারণত আরও ব্যয়বহুল খাবারের চেয়ে সস্তা।
  • খাবারের পরিমাণ: একটি বড় প্লেট খাবার একটি ছোট প্লেটের চেয়ে বেশি খরচ করে।
  • খাবারের অবস্থান: রেস্তোরাঁর অবস্থান খাবারের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রেস্তোরাঁগুলি সাধারণত শহরের বাইরে অবস্থিত রেস্তোরাঁগুলির চেয়ে বেশি খরচ করে।
  • খাবারের সময়: ছুটির মৌসুমে খাবারের দাম সাধারণত অন্যান্য সময়ে বেশি।

এই তালিকাটি শুধুমাত্র একটি নির্দেশিকা। প্রকৃত খাবারের খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

পরিবহন খরচঃ

ইতালিতে বিভিন্ন পরিবহণের নাম ও খরচ

ইতালি ইউরোপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ইতালিতে ভ্রমণের জন্য, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন রয়েছে, যেমন:

  • বিমান: ইতালির প্রধান শহরগুলির মধ্যে বিমান পরিবহন একটি জনপ্রিয় বিকল্প। একটি এক-পাশের বিমানের টিকিটের দাম প্রায় 100 ইউরো থেকে শুরু হয়।
  • ট্রেন: ইতালির একটি বিস্তৃত ট্রেন নেটওয়ার্ক রয়েছে। একটি এক-পাশের ট্রেনের টিকিট প্রায় 10 ইউরো থেকে শুরু হয়।
  • বাস: ইতালিতে একটি ভাল বাস নেটওয়ার্ক রয়েছে। একটি এক-পাশের বাসের টিকিট প্রায় 5 ইউরো থেকে শুরু হয়।
  • ট্যাক্সি: ইতালি একটি ব্যয়বহুল দেশ। একটি এক-কিলোমিটার ট্যাক্সির ভাড়া প্রায় 10 ইউরো থেকে শুরু হয়।
  • কার ভাড়া: ইতালিতে কার ভাড়া একটি জনপ্রিয় বিকল্প। একটি দিনের জন্য গাড়ি ভাড়ার খরচ প্রায় 50 ইউরো থেকে শুরু হয়।

ইতালির কিছু জনপ্রিয় পরিবহনের দাম:

পরিবহন খরচ
বিমান (রোম থেকে মিলান) 100 ইউরো থেকে শুরু
ট্রেন (রোম থেকে মিলান) 10 ইউরো থেকে শুরু
বাস (রোম থেকে মিলান) 5 ইউরো থেকে শুরু
ট্যাক্সি (রোম থেকে মিলান) 100 ইউরো থেকে শুরু
কার ভাড়া (রোম) 50 ইউরো থেকে শুরু

ইতালিতে পরিবহন খরচের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু বিষয়:

  • পরিবহনের ধরন: বিমান পরিবহন সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তারপর ট্রেন, বাস, ট্যাক্সি এবং কার ভাড়া।
  • পরিবহনের দূরত্ব: দূরত্ব যত বেশি হবে, খরচ তত বেশি হবে।
  • পরিবহনের সময়: ছুটির মৌসুমে পরিবহন খরচ সাধারণত অন্যান্য সময়ে বেশি।

এই তালিকাটি শুধুমাত্র একটি নির্দেশিকা। প্রকৃত পরিবহন খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

ইতালিতে পরিবহন খরচের কিছু টিপস:

  • অনলাইনে টিকিট কিনুন। অনলাইনে টিকিট কেনা সাধারণত এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেনার চেয়ে সস্তা।
  • সীজনের বাইরে ভ্রমণ করুন। ছুটির মৌসুমে পরিবহন খরচ সাধারণত অন্যান্য সময়ে বেশি।
  • কম খরচে পরিবহন বিকল্পগুলি বিবেচনা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কম খরচে ভ্রমণ করতে চান তবে আপনি বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন।

সাধারণভাবে, বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সর্বনিম্ন ৩,৫০,০০০ টাকা খরচ হয়।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী

  • ইতালিতে ভিসা পাওয়া কতটা কঠিন?

ইতালিতে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। তবে, আবেদনকারীদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং তাদের আবেদনের সমর্থনে একটি শক্তিশালী আবেদন তৈরি করতে হবে।

  • ইতালিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে কত সময় লাগে?

ইতালিতে ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত 10-15 দিন সময় নেয়। তবে, ভিসা আবেদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে এই সময়টি বাড়তে পারে।

  • ইতালিতে ভিসা পেতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?

ইতালিতে ভিসা পেতে আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

* একটি সম্পূর্ণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম
* পাসপোর্টের একটি কপি
* একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি
* একটি ভিসা ফি
* একটি আর্থিক নিশ্চয়তা
* একটি স্বাস্থ্য বীমা
* একটি আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য)

উপসংহার

ইতালি ভিসার খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরণের উপর। সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি 60 ইউরো এবং নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন ফি 120 ইউরো। ভিসার খরচ ছাড়াও, ইতালিতে প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের টিকিট, হোটেল বুকিং, চিকিৎসা বীমা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচও যোগ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

You cannot copy content of this page